রাস্তা তৈরি হয়েছে। তারপর আবার অপটিক ফাইবার বা গ্যাসের লাইন পাততে রাস্তার খোঁড়াখুঁড়ি করা হচ্ছে? এবার সেই যন্ত্রণা থেকে ‘মুক্তি’ দেবে ১০০ লাখ কোটি টাকার প্রধানমন্ত্রী গতিশক্তি – ন্যাশনাল মাস্টার প্ল্যান। আজ (বুধবার) যে প্রকল্পের সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সেই প্রকল্পের সূচনার পর মোদী জানান, পরিকাঠামো সংক্রান্ত সরকারি নীতিকে গতিশক্তি দেবে ন্যাশনাল মাস্টার প্ল্যান। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সরকারি প্রকল্পের কাজ শেষ করার ক্ষেত্রে ন্যাশনাল মাস্টার প্ল্যান দিশা দেখাবে। যে প্রকল্পের মধ্যে সামিল আছেন দেশের মানুষ, কৃষক, শিল্পপতি, উদ্যোগপতিরা। একবিংশ শতাব্দীতে ভারত নির্মাণের জন্য পরবর্তী প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করবে এই প্রকল্প। যা পরবর্তী প্রজন্মের সামনে থেকে বাধা দূর করবে।
সেইসঙ্গে নাম না করে কংগ্রেসকে আক্রমণ শানান মোদী। কটাক্ষ করেন, দশকের পর দশক ধরে ভারতে যে সরকার চলেছে, তাতে সরকারি কাজ শুনলেই নাক সিঁটকোতেন মানুষ। সেইসব সরকার জনগণের টাকা নষ্ট করতেন। মানুষ হাল ছেড়েই দিয়েছিলেন। চারিদিকে লেখা থাকত – ‘কাজ এগোচ্ছে’। কিন্তু সেই কাজ আদৌও শেষ হবে কিনা, তা জানতেন না সাধারণ মানুষ। তাঁরা হাল ছেড়ে দিতেন। সেই পরিস্থিতিতে দেশ কীভাবে প্রগতির পথে এগিয়ে যাবে? বিজেপি সরকারের আমলে প্রশাসনিক বিষয়ে সেই পুরনো চিন্তাভাবনাকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। গত সাত বছরে ভারতে নয়া কর্মসংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। তাতে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট সময় কাজ হচ্ছে, এমন নয়। সময়ের আগেই কাজ শেষ হয়ে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, সেই প্রকল্পের ফলে বিভিন্ন দফতর বা বিভাগ বা সংস্থার মধ্যে যে সমন্বয়ের অভাব আছে, তা দূর হবে। একটি কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে বিভিন্ন দফতর বা বিভাগ – যে কোনও কাজের দিকে নজর রাখতে পারবে। সেইমতো পরিকল্পনা করতে পারবেন। বুধবার মোদী জানান, আগে রেলের কোনও কাজ করা হত, তা জানত না সড়ক দফতর। আবার রাস্তার তৈরির পর জলের লাইন বসানোর জন্য খোঁড়াখুঁড়ি করা হত। এবার সেইসব সমস্যা দূর হবে।