বাঁকুড়ার ভোটার গণদেবতাগণ বিধানসভার নির্বাচনে জেলার বারোটা আসনের মধ্যে সাতটায় পদ্মফুল কে জিতিয়ে কোনও পাপ করেননি। তারা বাংলা থেকে পাপকে বিদায় করতে চেয়েছিলেন। এখন আর দুয়ারে সরকার নয় দুয়ারে সিবিআই। আজ ওন্দায় এক পদযাত্রা শেষে আয়োজিত সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
অভিষেক বন্দোপাধ্যায় ওন্দায় এক জনসভায় বাঁকুড়াবাসীকে ‘অসম্মানসূচক’ মন্তব্যে করার প্রতিবাদে বাঁকুড়ার আজ ওন্দাতে বিকেল চারটায় বিজেপির পদযাত্রা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। পদযাত্রা শেষে বিকেল পাঁচটায় তিনি এক পথ সভায় বক্তব্য রাখেন।
পদযাত্রা শেষে আয়োজিত সভায় জীবন কৃষ্ণ চৌধুরীর গ্রেফতারের কথা উল্লেখ করে বলেন আজও একটা ইউকেট গেছে। তিনি বলেন, ভাইপো এখানে এসে যে কথা বলেছে তার প্রতিবাদ করতে এখানে এসেছি। তিনি বলেন, ভাইপো বলেছে বাঁকুড়ার লোক বিজেপিকে ভোট দিয়ে পাপ করেছে। এ প্রসঙ্গে তিনি অভিষেককে একজন দাম্ভিক, অহংকারী নেতা বলে সম্বোধন করেন।
এখানের ছেলেরা মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম হয়। এখানকার জনগণ সনাতন ভক্তি রীতিতে বিশ্বাস করে। এখানকার সনাতনী গ্রামে বাড়িতে বাড়িতে তুলসী মঞ্চ আছে। এখানে ভোলে বাবা হয়, শীতলা পূজা হয়। অভিষেককে উদ্দেশ্য করে বলেন, এখানের মানুষ আপনার মত আমেরিকায় চিকিৎসা করাতে যেতে পারে না। কারণ তাদের টাকা নেই। বাঁকুড়ার দরিদ্র মানুষ পান্তাভাত আর মুড়ি ছোলা ডাল ভাতের উপর দিয়ে জীবন যাপন করে।
কিন্তু তারা পাপী নন। আপনি যেমন আপনার পুরো পরিবার কয়লা খেয়েছেন, বালি খেয়েছেন, গরুর পয়সা খেয়েছেন?
এরপরে তিনি বলেন, বাঁকুড়ার লোক সেদিন বাংলা থেকে এই পাপকে বিদায় করার জন্য বাঁকুড়ার বারোটার বিধায়কের থেকে সাতটা আসন দিয়েছিল, তাই বাঁকুড়ার মানুষকে প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে না। যারা জোড়া ফুলে ভোট দিয়েছেন তারা আগামী দিনে পদ্মফুলে ভোট দিয়ে প্রায়শ্চিত্ত করবেন বলে তিনি জানান। এখানে দুয়ারে সরকার নেই দুয়ারে সিবিআই। কারণ এত দুর্নীতি হয়েছে।
এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা, ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা, বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, বিষ্ণুপুর জেলা বিজেপি সভাপতি বিল্লেশ্বর সিংহ, শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরি।