কেন্দ্রীয় বিহিনী দিয়েই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন করতে হবে। এমনই নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেই নির্দেশের পরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে পাঠাল কমিশন। অর্থাত্ ২২ জেলার জন্য ২২ কোম্পানি বাহিনী। প্রতিটি কোম্পানিতে থাকে ১০০ জওয়ান। তাদের মধ্যে পরিস্থিতি অনুযায়ী কাজে লাগানো হয় ৮০ জনকে।
রাজ্য সরকারের বক্তব্য ছিল পাঁচ রাজ্য থেকে বাহিনী আনা হবে। এনিয়ে আজ সুপ্রম কোর্টে প্রশ্ন করা হয়, কেন্দ্রীয় বাহিনীর খরচ তো কেন্দ্র দেবে। আপনাদের সমস্যা কোথায়? রাজ্য সরকার সওয়াল করে, অন্য রাজ্যের বাহিনী মোতায়েন করার ব্যবস্থা হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় বাহিনী এলে সমস্যা হবে। সুপ্রিম কোর্ট ধাক্কা খাওয়ার পর রাজ্যের ২২ জেলার জন্য ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইল কমিশন। এনিয়ে চিঠি গেল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে। অর্থাত্ প্রতি জেলার জন্য ১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।
কমিশনের চিঠির পর কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রাজ্য সরকার কমিশনকে আশ্বস্ত করেছে ভিন রাজ্য থেকেও বাহিনী এনে দেওয়া হবে। প্রতিটি জেলার জন্য ১ কোম্পানি বাহিনী দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনও জেলা ছোট কোনও জেলা বড়। মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মতো জেলায় অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। ফলে সেখানে মাত্র ১ কোম্পানি বাহিনী পর্যাপ্ত কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কী হিসেবে নির্বাচন কমিশন ১ কোম্পানি বাহিনী চাইল তার কোনও সদুত্তর নেই। বিরোধীদের প্রশ্ন কোনও কোনও জেলায় মাত্র ১ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করে কি শান্তপূর্ণ ভোট সম্ভব?
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্ব আজ শেষ হয়েছে। কাল থেকে প্রচার শুরু হবে। ফলে উত্তজনা ধাপে ধাপে বাড়বে। পাশাপাশি ধাপে ধাপে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে বলে জানা যাচ্ছে। তবে কোনও কোনও মহলের মতে ২২ কোম্পানি কোন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই যে কাজ শেষ হবে তা কিন্তু নয়। এরিয়া ডমিনেশন-সহ ভোট পরিচালনা করার জন্য আরও বাহিনীর প্রয়োজন হতে পারে।
মাত্র ১ কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী এন কী হবে। আজ কমিশনে এমনটাই প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তবে রাজ্যের দাবি, রাজ্য়ের বাহিনী রয়েছে, ভিন রাজ্যের বাহিনী আসছে। প্রয়োজনে আরও বাহিনী আনা হতে পারে। এদিকে, হিসেব বলছে এবার পঞ্চায়েত রাজ্যে হচ্ছে ৭৪ হাজার বুথ। । প্রতিটি জেলায় ১ কোম্পানি বাহিনী থাকলে প্রতি ২৮টি বুথে থাকছেন ১ জন জওয়ান।