রাজ্যে প্রথম দফার নির্বাচন ২৭ মার্চ। এই পর্বের নির্বাচন নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের মনোনীত পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে আরও বেশি সংখ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইলেন। বিবেক দুবের এই দাবি সমর্থন করে বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েকও এই একই দাবি করলেন কমিশনের কাছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে প্রথম দফার নির্বাচনে মোট ৯৫৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রাজ্যে এখনও ৭২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। কিন্তু ৭২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে প্রথম দফার সব বুথকে সংবেদনশীল বুথ হিসেবে ধরে ভোট করা সম্ভব নয় বলে মনে করছেন বিবেক দুবে। একই ভাবে ৭২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে সব বুথকে সংবেদনশীল হিসেবে চিহ্নিত করে শান্তিতে নির্বাচন পরিচালনা করা সম্ভব নয় বলে মনে করছেন অজয় নায়েক। তাই তাঁরা দু’জনই চাইছেন আরও বাড়তি কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া হোক প্রথম দফার রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে।
এবার রাজ্যে ৮ দফায় নির্বাচন হতে চলেছে। জাতীয় নির্বাচন কমিশনার নির্ঘন্ট অনুযায়ী আগামী ২৭ মার্চ প্রথম দফার নির্বাচন হতে চলেছে। প্রথম দফায় ৫টি জেলায় ১০ হাজার ২৮৮টি বুথে নির্বাচন হবে। জঙ্গলমহলের প্রতিটি বোঁথড়ে ৮জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবেন। প্রাথমিকভাবে যে পরিকল্পনা করা হয়েছে তাতে জঙ্গলমহলের বাইরে যে ভোট কেন্দ্রে ১ থেকে ৩টি বুথ আছে সেখানে বুথ পিছু ৪জন, ৪ থেকে ৮টি বুথ আছে এমন বুথে ৮জন, ৯ থেকে ১৫টি বুথে ১৬ জন জওয়ান ঠেকবেন বুথ রক্ষার দায়িত্বে। এছাড়াও জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের তত্ত্বাবধানে থাকবে ১ কোম্পানি করে সেনা বাহিনী।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে এবারের বিধানসভা নির্বাচনে অশান্তির আশংকা করছে। তাই সব দিক থেকে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে নির্বাচন শুরু করতে চাইছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তাই প্রথম দফার নির্বাচনে বিশেষ পর্যবেক্ষক ও পুলিশ পর্যবেক্ষক অশান্তির আশংকা থেকেই চাইছেন ৯৫৬ কোম্পানি সেনা বাহিনীর চাইতেও আরও বেশি সেনা বাহিনী। তাহলে কী প্রথম দফা নির্বাচন থেকেই রাজ্যে অশান্তির আশঙ্কা করছে কমিশন?