সন্ত্রাসবাদ ও হিংসা থেকে কারও উপকার হবে না। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এক হতে হবে বিশ্বের সমস্ত দেশকে, যদিও ভারত সর্বদা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। শনিবার সকালে গুজরাটের কেভাডিয়ায় ভারতের প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মজয়ন্তীতে, ‘রাষ্ট্রীয় একতা দিবস’-এ এই মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ৩১ অক্টোবর সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মদিনটি ‘রাষ্ট্রীয় একতা দিবস’ হিসেবে পালিত হয়। শনিবার সর্দার প্যাটেলের ১৪৫তম জন্মবার্ষিকীতে ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’-র পাদদেশ থেকে বক্তৃতা রাখেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এক হতে হবে বিশ্বের সমস্ত দেশকে। সন্ত্রাসবাদ ও হিংসা থেকে কারও উপকার হবে না। ভারত সর্বদা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে।’
কোভিড অতিমারি পরিস্থিতিতে ভারতের অবস্থান সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সালে কেউ কল্পনাও করতে পারেননি যে এই ভয়াবহ সংক্রমণ বিশ্বজুড়ে অতিমারির চেহারা নেবে। কিন্তু, ভারত ঐক্যবদ্ধ শক্তি নিয়ে লড়ে চলেছে। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ১৩০ কোটি ভারতীয় নাগরিক একসঙ্গে কোভিড-১৯ যোদ্ধাদের সম্মান জানিয়েছেন। এই সময়ে দেশ যেভাবে সম্মিলিত সম্ভাবনা প্রদর্শন করেছে, তা এক কথায় নজিরবিহীন। প্রধানমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, উন্নয়নের নতুন পথে অগ্রসর হয়েছে কাশ্মীর।..উত্তর-পূর্বাঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা হোক অথবা সেখানে উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয় হোক, ঐক্যের নতুন মাত্রা প্রতিষ্ঠা করেছে দেশ।
জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সন্ত্রাসী হামলার প্রসঙ্গ টেনে এনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আজ অফিসারদের কুচকাওয়াজ দেখে একটা দৃশ্য মনে পড়ে গেল, পুলওয়ামা হামলার দৃশ্য। সন্তানহারা হয়ে গোটা দেশ শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েছিল। কিছু মানুষ সেই শোকে শামিল ছিলেন না। পুলওয়ামা হামলা নিয়ে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির রাস্তাই খুঁজছিলেন তাঁরা। সেই সময় তাঁরা শুধুমাত্র রাজনীতি করছিল। তাঁদের কাছে আমার অনুরোধ, দেশের স্বার্থে এই ধরনের রাজনীতি করবেন না।’’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুলওয়ামা হামলার সত্যতা পাক সংসদও মেনে নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘‘গত কয়েক দিনে পড়শি দেশ থেকে যে খবর সামনে এসেছে, যে ভাবে দেশের সংসদে হামলার কথা মেনে নিয়েছে ওরা, যাঁরা এত দিন হামলার কথা অস্বীকার করছিলেন, এতে তাঁদের আসল চেহারা সামনে এসে গিয়েছে। রাজনৈতিক স্বার্থে মানুষ কতটা নীচে নামতে পারে, পুলওয়ামা হামলা-পরবর্তী রাজনীতিই তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ।’’