বেঙ্গালুরু দাঙ্গার তদন্তভার NIA গ্রহণ করার পর নতুন তথ্য সামনে আসছে। NIA আগেই দাঙ্গায় একাধিক কংগ্রেস নেতার যোগ খুঁজে পেয়েছিল। সেই সূত্র ধরেই দুই কংগ্রেস বিধায়ক জমীর আহমেদ খান এবং আরশাদ রিজওয়ানকে ডেকে পাঠিয়েছিল NIA। খবর, তাদেরকে টানা ৪ ঘন্টা জেরা করেন তদন্তকারী অফিসাররা। তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয় যে তাঁরা দাঙ্গার সময় উন্মত্ত মুসলিম জনতার ভিড়ে কি করছিলেন। পাশাপাশি উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করতে কি কি ভূমিকা নিয়েছিলেন। তবে ওই দুই বিধায়ক জেরায় জানিয়েছেন যে দাঙ্গায় তাদের কোনো ভূমিকা ছিল না। বরং খবর পেয়ে তাঁরা উন্মত্ত মুসলিম ডাঙ্গাকারীদের শান্ত করছিলেন। কিন্তু পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ায় তাঁরা ওই স্থান থেকে ফিরে আসেন। জানা গিয়েছে, NIA তাদের বক্তব্যের ভিডিও রেকর্ড করেছেন। পরে আবারও তদন্তের স্বার্থে ডাকা হতে পারে তাদের।
বেঙ্গালুরু শহরে দাঙ্গা যে পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছিল, প্রথম থেকেই তা বুঝতে পেরেছিলেন তদন্তকারীরা। তাই পুরো ষড়যন্ত্রের পর্দাফাঁস করতে NIA-এর হাতে তদন্তভার তুলে দেয় সে রাজ্যের সরকার। পরে একাধিক কংগ্রেস নেতা, পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া(PFI) এবং SDPI-এর একাধিক নেতার যোগ খুঁজে পান অফিসাররা। পাশাপাশি দাঙ্গার পূর্বে ফেসবুকের মাধ্যমে লোক জড়ো করাও হয়েছিল। তাছাড়া, শহরের একাধিক স্থানে রড, পেট্রোল, ধারালো অস্ত্রশস্ত্র মজুত করা হয়েছিল, তাও খুঁজে পান তদন্তকারীরা। তদন্তকারীদের অনুমান, বড় মাথার মদত ও অর্থ সাহায্য ছাড়া এই বিশাল দাঙ্গার পরিকল্পনা অসম্ভব। তদন্তে নেমে ভিডিও ফুটেজে ওই দুই কংগ্রেস নেতাকে মুসলিম দাঙ্গাকারীদের ভিড়ে দেখতে পান তদন্তকারীরা। আর সেই কারণেই তাদেরকে ডেকে জেরা করা হলো। উল্লেখ্য, গত ১১ই আগস্ট এক ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে হিন্দু বিরোধী দাঙ্গা শুরু হয় বেঙ্গালুরু শহরে। সেই দাঙ্গায় একাধিক থানা, কংগ্রেস বিধায়কের বাড়ি এবং হিন্দুদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয় উন্মত্ত মুসলিম জনতা।