অক্টোবরে বাংলায় পুজোর মরশুমেই কোভিডের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল। আর তৃতীয় ঢেউ এলে শিশুদের সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি বলেই রিপোর্ট দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে সে প্রশ্ন তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
কোভিডের তৃতীয় ঢেউ সামলাতে রাজ্যের পরিকাঠামো কতটা মজবুত সে নিয়ে টুইটারে একের পর এক প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন শুভেন্দু। তিনি বলেছেন, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের পাঠানো রিপোর্টে বলা হয়েছে, তৃতীয় ঢেউতে শিশুরাই হাই-পিস্ক গ্রুপে আছে। এর কারণ হল শিশুদের টিকাকরণ এখনও শুরু হয়নি। শুভেন্দুর প্রশ্ন, যদি তৃতীয় ঢেউ মারাত্মক আকার নেয় তাহলে শিশুদের চিকিৎসার জন্য কী কী ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, হাসপাতালে কত বেড আছে, তার হিসেব দিক সরকার।
কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে রাজ্যের কোভিড গ্রাফ শীর্ষে উঠেছিল। সেকেন্ড ওয়েভের পর থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকার কতগুলো মেডিক্যাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরি করেছে, কী পরিমাণ মেডিক্যাল অক্সিজেন উৎপাদনের পরিকাঠামো আছে, সে নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন, শিশুদের সুরক্ষা নিয়ে কোনও আপোস করাই উচিত নয়। বাচ্চাদের সবচেয়ে ভাল চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়াই উচিত।
বস্তুত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বলেছিলেন, কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের কথা মাথায় রেখেই শিশুদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, আলাদা বেডের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। পেডিয়াট্রিক কেয়ারের জন্য আদালা কমিটি তৈরি হচ্ছে। তাছাড়া বাচ্চাদের জন্য ১৩০০ পেডিয়াট্রিক আইসিইউ বেডের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। ১০ হাজার জেনারেল বেড থাকবে ও এসএনসিইউ বা স্পেশাল নিউবর্ন কেয়ার ইউনিট থাকবে সাড়ে তিনশো।
প্রসঙ্গত কেন্দ্রের গাইডলাইনেও বার বার সতর্ক করে বলা হয়েছে, ৫ থেকে ১৮ বছর বয়স অবধি ফেস-মাস্ক বাধ্যতামূলক। পাঁচ বছরের নীচে শিশুদের মাস্ক পরাতে হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। শিশুদের ওবেসিটি, টাইপ-১ ডায়াবেটিস, ক্রনিক কার্ডিওপালমোনারি রোগ থাকলে নিয়মিত চেকআপ করাতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা দিকে বেশি নজর দিতে হবে বাবা মায়েদের।