বিজেপি যাতে এই মিছিল না করে তথা রণে ভঙ্গ দেয় সেজন্য গতকাল নবান্নের তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছিল যুব মোর্চাকে। এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের একটি রায় ও বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের ধারার কথাও চিঠিতে বলা হয়।
চার মিছিলে নবান্ন ঘেরার কৌশল ছিল বিজেপির। সেই মিছিল এখনও অর্থাৎ সকাল ১১ টাতেও পুরোপুরি শুরু হয়নি। তবে মিছিল রুখতে ব্যরিকেডে ব্যারিকেডে কলকাতাকে দুর্গ বানিয়ে ফেলল পুলিশ। শহরে ঢোকার মুখ্য রাস্তাগুলিতেই ব্যারিকেড লাগানো হয়েছে। শুধু তা নয়, জেলা থেকে মিছিল যাতে কলকাতা পর্যন্ত না আসতে পারে সে জন্যও সক্রিয় পুলিশ। ডানকুনিতে বিজেপি কর্মীদের উপর পুলিশ বেধড়ক লাঠি চালিয়েছে বলেও অভিযোগ। যুব মোর্চার এও অভিযোগ, পুলিশের লাঠির আঘাতে জখম হয়েছেন তাদের মহিলা কর্মীরাও।
বিজেপি যাতে এই মিছিল না করে তথা রণে ভঙ্গ দেয় সেজন্য গতকাল নবান্নের তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছিল যুব মোর্চাকে। এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের একটি রায় ও বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের ধারার কথাও চিঠিতে বলা হয়। তা ছাড়া মিছিল আটকানোর প্রশাসনিক প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছিল বুধবার বিকেল থেকেই।
বৃহস্পতিবার সকালে সাঁতরাগাছিতে ইতিমধ্যে ত্রিস্তরীয় ব্যারিকেডের কাজ শুরু হয়ে যায়। সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ বাহিনী। কলকাতার দিকে যাওয়ার রাস্তা ইতিমধ্যেই ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দ্বিতীয় হুগলি সেতু। তা ছাড়া মজুত রাখা হয়েছে জল কামান, মোতায়েন র্যাফ। রয়েছেন বিরাট সংখ্যায় পুলিশকর্মীরাও।
একই ভাবে হেস্টিংস চত্বরে ব্যারিকেড তৈরি করেছে পুলিশ। হেস্টিংসে বিজেপির পার্টি অফিস থেকে মিছিল শুরু করার কথা মুকুল রায় ও কৈলাস বিজয়বর্গীয়র। আর মুরলী ধর লেন থেকে মিছিলের সূচনা করবেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
যে হেতু এদিন সরকার নবান্ন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই এদিন সকালে কৌশলে পরিবর্তন এনে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির মহিলা কর্মীরা। তাঁরা হাজরা মোড়ের কাছে বিক্ষোভ অবস্থানও করেন। পরে পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেয়।
রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, “বাংলায় পুলিশ যে তৃণমূল কর্মীর মতো আচরণ করে সেটা গোটা দুনিয়া জানে। ফলে বিজেপিকে রুখতে পুলিশ যে তৃণমূলের বাহিনীর মতো কাজ করবে সেটা প্রত্যাশিতই ছিল। দলের কর্মীদের বলা হয়েছে, যেখানে মিছিল বাধা পাবে সেখানে যেন বিক্ষোভ অবস্থানে বসে পড়েন তাঁরা।”