পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan) বিমানকে ভারতীয় আকাশসীমায় প্রবেশের অনুমতি দিল নয়াদিল্লি। এমনটাই খবর সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে।
মঙ্গলবার অর্থাৎ আজ শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজপক্ষের আমন্ত্রণে দু’দিনের জন্য শ্রীলঙ্কা যাচ্ছেন ইমরান। কিন্তু দ্বীপরাষ্ট্রটিতে যাওয়ার পথ গিয়েছে ভারতীয় আকাশসীমার মধ্যে দিয়ে। তাই পাক প্রধানমন্ত্রীর বিমানকে পথ করে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে নয়াদিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ করে ইসলামাবাদ। আর সৌজন্য দেখিয়ে সেই আরজি মেনে নিয়েছে ভারত। তবে ভারতের অনুমতি যদি না মিলত, তা হলে বাধ্য হয়ে শ্রীলঙ্কার বিমানে করে সেদেশে যেতে হত ইমরানকে। আর যে কোনও রাষ্ট্রপ্রধানের কাছে এহেন ঘটনা রীতিমতো অস্বস্তিকর। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে বিশকেকে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সময় পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছিল।
উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজপক্ষের আমন্ত্রণে শ্রীলঙ্কা যাচ্ছেন ইমরান। কিন্তু সফর শুরুর আগেই কূটনৈতিক মঞ্চে বড় ধাক্কা খেয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। এবং সেটা এসেছিল খিড় আপ্যায়নকারী দেশটি থেকেই। সূচী মতো ২৪ ফেব্রুয়ারি দ্বীপরাষ্ট্রটির সংসদে বক্তৃতা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু, শ্রীলঙ্কা পার্লামেন্টের স্পিকার মাহিন্দা অভয়বর্ধন জানান, বিশেষ কারণে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পার্লামেন্টে বক্তৃতা বাতিল করা হয়েছে। শ্রীলঙ্কা পার্লামেন্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, করোনা পরিস্থিতির কারণেই ইমরানের বক্তৃতা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এর নেপথ্যে অন্য কারণ রয়েছে বলেই মত বিশ্লেষকদের। বুধবার রাজধানী কলম্বোয় সর্বদল বৈঠকের পর রাজনৈতিক মহলের খবর, সংসদে বক্তৃতায় কাশ্মীর সমস্যার প্রসঙ্গ তুলতে পারেন ইমরান খান বলে আঁচ পেয়েই তড়িঘড়ি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের সরকার। এই বক্তৃতা বাতিলের পদক্ষেপ ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। তাঁরা মনে করছেন, ইমরানের বক্তৃতায় ভারত বিরোধী কোনও বক্তব্য থাকুক তা চায় না কলম্বো। সম্প্রতি ভরিতের সঙ্গে বন্দর চুক্তি বাতিল করেছে রাজাপক্ষে সরকার। তা নিয়ে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ নয়াদিল্লি। এহেন পরিস্থিতিতে আপাতত নয়াদিল্লিকে কোনওভাবেই আর উসকানি দিতে চাইছে না শ্রীলঙ্কা।