দুপুর ১টা ২০ মিনিটে কলকাতায় অবতরণ করবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিমান। এরপর হেলিকপ্টারে তিনি পৌঁছে যাবেন রেসকোর্স। দুপুর ২টো নাগাদ ব্রিগেডের জনসভার মঞ্চে উঠবেন তিনি। শহরে মোদির সভা ঘিরে ব্রিগেডে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু রবিবার সকাল থেকেই ব্রিগেড ভরতে শুরু করেছে। এদিন সকাল থেকেই কলকাতার সমস্ত মিছিল ব্রিগেডমুখী। শিয়ালদা, হাওড়া স্টেশনে একের পর এক লোকাল এবং দূরপাল্লার ট্রেন থামতেই হাজারে হাজারে বিজেপি কর্মী-সমর্থক ব্রিগেডমুখী মিছিলে যোগ দিচ্ছেন। সকাল থেকে একই চিত্র দেখা যাচ্ছে ফেরিঘাটগুলিতেও। গাড়ি, বাস, ট্রাকে চেপেও দুরবর্তী জেলার বিজেপি কর্মী সমর্থকরা কলকাতায় এসে পৌঁছাচ্ছেন। এদিন ব্রিগেড ভরানোর চ্যালেঞ্জ ছিল বিজেপির। বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা তথা বাংলার পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় দাবি করেছেন, ‘বাংলার ইতিহাসে এটাই সব থেকে বড় ব্রিগেডের জনসভা হতে চলেছে’।
যে কারণে কোনও ফাঁক রাখতে চাইছেন না বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্ব। বিজেপি সূত্রে খবর, এদিনের সমাবেশে বেশ কিছু চমক থাকবে বলেই জানা যাচ্ছে। বেশ কয়েকজনের যোগদান করতে পারেন বলেই সূত্রের খবর। সভামঞ্চে থাকবেন মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী। শনিবার গভীর রাতে মিঠুনের বেলগাছিয়ার বাড়িতে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। দীর্ঘক্ষণ দুজনের কথা হয়। এরপরই টুইট করে কৈলাশ লেখেন, ‘রাতের দিকে বেলগাছিয়ায় জনপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন দা’র সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হল। তাঁর দেশপ্রেম এবং গরিবের প্রতি টানের গল্প শুনে মন ভালো হয়ে উঠল’। এর আগেই যদিও মিঠুন জানিয়েছিলেন মোদির ব্রিগেডের সভায় তিনি থাকবেন।
অপরদিকে জানা যাচ্ছে শেষ মুহূর্তে বলিউড সুপারস্টার অক্ষয় কুমার আসছেন না কলকাতায়। তাঁরও ব্রিগেডে থাকার কথা ছিল। এদিন ব্রিগেডে মোদির সভায় বিজেপির ৪৭ জন নেতা-নেত্রী উপস্থিত থাকবেন। সবমিলিয়ে ব্রিগেডের মঞ্চ থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গ ভোটের চুরান্ত পর্যায়ের প্রচার শুরু করতে চলেছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন কি বার্তা দেন, সেই দিকেই তাঁকিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব। অপরদিকে, বাংলার রাজনৈতিক মহল তাঁকিয়ে সভামঞ্চে দলবদলের কোনও চমক থাকে কিনা।