সোনার পুর থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ, “ছাপ্পা ভোট দিতে না পেরে নির্বাচন কমিশনকে গালাগাল দিচ্ছেন? কাটমানি, সিন্ডিকেট, ১০ বছরের শাসনের পর আপনার এতো রাগ কেন দিদি?” প্রধানমন্ত্রী সোনারপুরের সভা থেকে শনিবার বলেন, “টিএমসি”-র মানে হচ্ছে টাকা, মারো, কোম্পানি। নন্দীগ্রামে আপনি হারছেন দিদি। এটা বুঝে আপনি অন্য আসনে লড়তে চাইছিলেন। কিন্তু আপনাকে আপনার দলের লোকেরা বুঝিয়েছে দুটো আসনে হারলে রাজ্যে আর তৃণমূলের রাজনীতি করা হবে না। তাই দিদি আপনার স্কুটার নন্দীগ্রামে চলে গেলো।”
সোনারপুরের সভা থেকে কৌশলে প্রধানমত্রী কোদালিয়ার প্রসঙ্গ, চিন্তামণি কর-এর নাম তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে করা সমালোচনা করলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জয় মা বিপত্তারিণী, মুখে সুভাষ বোসের নাম, সত্যজিৎ রায়ের নাম তুলে বাংলার রাজনীতি, সংস্কৃতিকে টেনে এনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন।”
প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, “দিদির লোকেরা এখন বলছেন, বারাণসী থেকে দিদি লড়বেন। এর মানে প্রথমত দিদি বাংলায় ;পরাজিত হয়েছেন। দ্বিতীয়ত আপনাকে ওখানে কেউ বহিরাগত বলবে না। বারাণসী, কাশীর মানুষ আপনাকে পর্যটক হিসেবে জায়গা দেবে । কাশীর মানুষ বাংলার মানুষের জন্য আছে । তবে ওখানে জয় শ্রীরাম হয় সারাক্ষণ। শুনলে আপনি রেগে যাবেন। দিদি, ও দিদি? আপনার হলো কী? আমি আপনাকে বলছি বারাণসী,উত্তরপ্রদেশের ওপর রাগ কমান।”
নরেন্দ্র মোদী অভিযোগ করে বলেন, “সোনারপুর থেকে কলকাতা দূরে নয়। এখানে মানুষ কষ্ট করে কাজ করে। কিন্তু তৃণমূলের তোলাবাজরা তাদের থেকে টাকা নেয়। আমফান , করোনা-র সময় কেন্দ্র যে সাহায্য দিয়েছে সেটা তৃণমূল মেরে দিয়েছে।” তিনি বলেন, ” আমফানের ২৩ লক্ষ মেট্রিক টন চাল, ১ লক্ষ মেট্রিক টন ডাল দিয়েছে। মমতা সরকার এসব দেয়নি।”
মোদী এদিন বাংলায় বলেন, “দিদি, আপনি টিএমসি-র গুন্ডাদের থামান। এখানে মোদী এসেছে। বাংলা চায় না টিএমসি-র গুন্ডাদের অত্যাচার। বাংলা নিজের মেয়েদের সম্মান চায়। এবার বিজেপি সরকার।”
প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, “এখানে হস্ত শিল্পের কাজ হয়, মহিলাদের যে সমবায় আছে সেখানে কেন্দ্রীয় সরকার মহিলাদের ব্যবসার জন্য বিনা গারান্টিতে সারা দেশে ঋণ দেয়। অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের টাকা দেয়। দিদি এখানে সেসব করতে দেয়নি। কেন্দ্রীয় সরকার মহিলাদের জন্য থানায় মহিলাদের ডেস্ক করার জন্য টাকা দিয়েছে। দিদির সরকার সেটা করেনি। এবার রাজ্যে আসল পরিবর্তন হবে। কাটমনি চলবে না। তাই টিএমসি-র কষ্ট হচ্ছে। কেন্দ্রের প্রকল্পের টাকা সোজা প্রাপকদের ব্যাঙ্কে যাবে। কোনও মাঝের কেউ থাকবে না। ২ মে ডাবল ইঞ্জিন সরকার হওয়ার পর এই কাজ আরও ভালো ভাবে হবে। উন্নয়ন হবে। বাংলাকে তার পুরোনো কলা ও সংস্কৃতির মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। বোমা, বন্দুকে এসব হবে না। আপনারা দলবেধে সব বুথে পদ্ম ফোটান। প্রথম দু’দফার যা ভোট পড়েছে তার চাইতে বেশি হরে ভোট দিন। বেশি করে বাংলায় বিজেপিকে জেতান। জোরে বলুন, ভারত মাতাকি জয়।”