ইন্দো-চিন সীমান্ত (Indo-China Border)সংক্রান্ত জটিলতা মেটেনি এখনও। তার মধ্যেই সীমান্ত এলাকায় চিনের অতিসক্রিয়তা চিন্তায় ফেলছে বিদেশ মন্ত্রককে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চিনের (China) স্থিতাবস্থা বজায় রাখার বার্তা দিয়েছে ভারত (India)। এমন উদ্বেজনক পরিস্থিতিতে ভারত-চিন সম্পর্কে দুই দেশকে বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থানের বার্তা দিলেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। তিনি বলেন যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) এবং চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং (Xi Jinping) উভয়ই “দায়িত্বশীল” নেতা এবং দু’দেশের মধ্যে চলমান সীমান্ত সমস্যা সমাধানে তারা সক্ষম। সেখানে অন্য আঞ্চলিক শক্তির হস্তক্ষেপের কোনো প্রয়োজন নেই। তিনি আশা করেন যে, ভারত ও চীন এই সমস্যার সমাধানে পৌঁছাবে।
সম্প্রতি রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)বলেন, “হ্যাঁ, আমি জানি যে ভারত চিনের মধ্যে কিছু সমস্যা আছে। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে এমন সমস্যা থাকে। আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী এবং চিনের প্রেসিডেন্টের মনোভাব জানি। দুজনেই ভীষণ দায়িত্বশীল। নিজেদের সমস্যা মেটাতে তারা সক্ষম। সেখানে কোনো বাইরের শক্তির হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই। সম্প্রতি পূর্ব লাদাখে (Eastern ladakh)ভারতীয় সেনা ও চিনের লালফৌজের মধ্যে সীমান্ত বিতর্কের পর এই মন্তব্য করেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট।
গত বছর ১৫ জুনের পর থেকে উত্তপ্ত রয়েছে ভারত চিন সীমান্ত। গালওয়ান উপত্যকায় চিন সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ দিতে হয়েছে ২০ জন ভারতীয় জওয়ানকে৷ জানা যায়, ভারতীয় সেনার আরও ৭৬ জন জওয়ান আহত হয়েছেন। এরপরই সেনার তরফে জরুরি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডাকা হয়। এই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং নিয়ন্ত্রণের পথ কী তা নিয়ে ইতিমধ্যে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। কিন্তু এখনও কমেনি সেই চাপানউতোর।
চিনের সঙ্গে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠতা ভারতের সঙ্গে মস্কো চুক্তিতে কি প্রভাব ফেলতে পারে। সে প্রসঙ্গে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট বলেন, ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় আছে। রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের কৌশলগত এবং সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বজায় রাখার জন্যে আমরা আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র ভারতের অত্যন্ত প্রশংসা করছি। ভারত অর্থনীতি, শক্তি এবং উচ্চ-প্রযুক্তিতে আমাদের পুরোপুরি সহযোগিতা করছে। প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে আমি কেবল রাশিয়ার অস্ত্র কেনার কথা বলছি না। বিশ্বাসের ভিত্তিতে ভারতের সঙ্গে আমাদের গভীর সম্পর্ক রয়েছে।