লকডাউনের (Lockdown) কঠিন সময়ে অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে গ্রামীণ প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গকেই সবচেয়ে বেশি অর্থ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার (Narendra Modi Govt.)। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নের পরিসংখ্যানে এমনটাই উঠে এসেছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের জেরে চলতি বছর ২৩ মার্চ থেকে লকডাউন কার্যকর করেন প্রধানমন্ত্রী। গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের (Rural Development Ministery) পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সেই মার্চ থেকে চলতি নভেম্বর মাস পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার ছয়টি প্রকল্পে মোট ৪৯,২৭০ কোটি টাকা দিয়েছে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গকে সর্বাধিক ৫,৯২৬ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। মূলত ১০০ দিনের কাজ, শ্যামাপ্রসাদ আরবান মিশন, ন্যাশনাল সোশ্যাল অ্যাসিসটেনস প্রোগ্রাম, ন্যাশানাল রুরাল লাইভলিহুড মিশন ও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে এই অর্থ দেওয়া হয়েছে রাজ্যগুলিকে। আর এই প্রকল্পের নিরিখেই প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। বাংলার রাজনীতির কারবারিরা মনে করছে, কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও তাঁর দলের রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগ এমন পরিসংখ্যান প্রকাশের পর অনেকটাই ভোঁতা হয়ে যাবে।
গত সপ্তাহে আমফানের ক্ষতিপূরণ হিসেবে রাজ্যকে দ্বিতীয় পর্বে আর্থিক প্যাকেজ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। দেওয়া হয়েছে ২০০০ কোটি টাকারও বেশি। এ ছাড়াও আরও পাঁচটি রাজ্যকে আর্থিক প্যাকেজ দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আমফানের (Amphan Cyclone) পর মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, ঘূর্ণিঝড়ের জন্য ক্ষতি হয়েছে প্রায় এক লক্ষ কোটি টাকার। পরে বৈঠক করে রাজ্য দাবি করে, আমপানে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা। দ্বিতীয় পর্যায়ে বাংলার জন্য ২,৭০৭.৭৭ কোটি টাকা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে থাকা উচ্চপর্যায়ের কমিটি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল থেকে এই অর্থ মঞ্জুর করেছে। আমফানের পর পরই দুর্গত এলাকা পরিদর্শনের পর প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করে দেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পুনর্গঠনে এক হাজার কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ। কিন্তু তারপরেও রাজ্য বারবার ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে এসেছে। সেই দাবি মেনেই এবার আমপানের জন্য দ্বিতীয় প্যাকেজ ঘোষণা করল কেন্দ্র। বসিরহাটে আমফান ঘুর্ণিঝড়ে বিধস্ত এলাকা পরিদর্শন করে ১০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।