একুশের ভোট প্রেস্টিজ ফাইট। কাল ফের রাজ্যে প্রচারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কাল রাজ্যে এসে প্রথমেই মোদীর সভা কোচবিহারে। সেখানে সভা সেরে তিনি সোজা চলে আসবেন হাওড়ায়। দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে প্রকাশ্য জনসভায় বক্তব্য রাখবেন নমো। এছাড়াও আগামী ১৭ এপ্রিল দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে সভা করবেন মোদী। ২০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর সভা মুর্শিদাবাদে। এরপর ২২ এপ্রিল আসানসোল ও মালদহ, ২৩ এপ্রিল কলকাতায় সভা-রোড শো করার পরিকল্পনা আছে মোদীর।
তৃণমূলকে সরিয়ে বাংলা দখলে মরিয়া গেরুয়া শিবির। সেই লক্ষ্যেই কৌশল সাজিয়েছেন মোদী-শাহ-নাড্ডারা। পালা করে রাজ্যে প্রচারে আসছেন বিজেপির প্রধান তিন মুখ। এর আগে দ্বিতীয় দফার ভোটের দিনই রাজ্যে সভা করে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার ফের কালই রাজ্যে সভা করতে আসছেন মোদী। আগামিকাল রাজ্যে তৃতীয় দফার নির্বাচন। কাল ৬ এপ্রিল রাজ্যের ৩১টি আসনে ভোট হবে। তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ চলাকালীনই উত্তরবঙ্গের কোচবিহারে জনসভা করবেন মোদী। সেই সভা সেরে তিনি হাওড়াতেও দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার সারবেন।
বিজেপির পাখির চোখ বাংলা। বিধানসভা ভোটের প্রচারে গোটা মোদী ক্যাবিনেট কার্যত পড়ে রয়েছে বাংলাতেই। প্রতিদিন জেলায়-জেলায় প্রচারে আসছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। যোগী আদিত্যনাথ, রাজনাথ সিং, স্মৃতি অরানি থেকে শুরু করে বিজেপির তাবজড় নেতাদের ডেস্টিনেশন বেঙ্গল। বঙ্গ বিজয় স্বপ্ন মোদীর। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে এতটুকো ফাঁক রাখতে নারাজ নমো। দলের অন্য নেতাদের পাশাপাশি তাই প্রায় নিয়ম করে বাংলায় প্রচারে আসছেন মোদী।
রাজ্যে প্রচারে এসে সম্প্রতি তৃণমূল সুপ্রিমোর উদ্দেশ্যে তাঁর করা মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তৃণমূলের তরফে সাংবাদিক সম্মেলন করে মোদীর বিরুদ্ধে সওয়াল তুলেছেন শশী পাঁজা, জুন মালিয়ারা। প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যে মহিলা হিসেবে অপমানিত হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এমনই অভিযোগ তৃণমূলের। যদিও তৃণমূলের এই অভিযোগকে আমল দিতে নারাজ বিজেপি নেতারা। বরং তাঁদের যুক্তি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একাধিক সভায় প্রধানমন্ত্রীর নাম করে নানা মন্তব্য করেছেন। তৃণমূল সুপ্রিমোর সেই সব মন্তব্যেও প্রধানমন্ত্রী অপমানিত হয়েছেন বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের।