নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন, অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়রা কী বলছেন? বুধবার এই প্রশ্ন করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তার সোজাসাপটা কোনও জবাব দেননি নোবেলজয়ী অভিজিৎ। তবে যে কথা বললেন, তাতে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে তিনি যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশেই দাঁড়াচ্ছেন সেটা স্পষ্ট হয়ে গেল।
নোবেলজয়ী অভিজিৎ নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের নিন্দা করেননি, রাজ্য সরকারকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শও দেননি। উল্টে বলে দিলেন, ‘অযোগ্য শিক্ষকরা বরাবরই ছিল। অনেক অযোগ্য শিক্ষক আমাকেও পড়িয়েছেন’। এহেন মন্তব্য শুনে অনেকে বলছেন, নোবেলজয়ী অভিজিৎ তো প্রকারন্তরে দুর্নীতিকেই প্রশ্রয় দিলেন!
বুধবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্ন ছিল, ‘নোবেলজয়ীরা স্কুলের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কী বলছেন? অমর্ত্য সেন রয়েছেন, যিনি প্রতীচী ট্রাস্ট গড়ে কাজ করছেন। রয়েছেন আর এক নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। স্কুলে নিয়োগে দুর্নীতিতে এই স্বীকৃত শিক্ষাবিদদের বক্তব্য কী? ওঁরা তো আরও অনেক বিষয়ে বলেন, তাই এটা নিয়েও কিছু বলেন কি না, সেটা জানতে চাইছিলাম’।
সাংবাদিকরা এ কথা জানালে জবাবে নোবেলজয়ী অভিজিৎ প্রথমে বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত যেহেতু এ বিষয়ে সিবিআইয়ের তদন্ত চলছে, তাই আমি এখনই কিছু বলতে পারব না। এমনকী বলার কোনও কারণও নেই। আর আমি ব্যক্তিগতভাবে এ নিয়ে কোনও চর্চাও করি না। তাই এ বিষয়ে কথা বলাটা দায়িত্বহীনতার পরিচয় দেওয়া হবে’।
যদিও অভিজিৎবাবুর মত, অযোগ্য শিক্ষকরা সর্বদাই ছিলেন। এখন আচমকা তাঁদের উদয় হয়েছে এমনটা নয়। তাঁর কথায়, ‘অযোগ্য শিক্ষক বরাবরই ছিল। তাঁদের মধ্যে অনেকেই আমাকে স্কুলে পড়িয়েছেন। সেই সমস্ত শিক্ষকদের কিছু প্রশ্ন করলেই চড় মারতেন। অযোগ্য শিক্ষক আমাদের গোটা দেশে সর্বত্রই রয়েছেন। আমার ঠাকুরদাদার বাবা শিক্ষক ছিলেন, ঠাকুরদা শিক্ষক ছিলেন, আমার বাবা শিক্ষক ছিলেন, আমিও শিক্ষক। কিন্তু, শিক্ষকতার এই পেশায় কতরকম যে ঘাটতি আছে! তাই এখন হয়েছে, আগে কোনওদিন ছিল না… এটা একটা অদ্ভুত গল্প’।