প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন নিয়ে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে জিনিসপত্রের দাম কমানো নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। আজ সোমবারই প্রধানমন্ত্রীর দফতরে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে।
অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। চিঠিতে জিনিসপত্রের দাম কমানো নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানালেন তিনি। কার্যত বেশ কড়া ভাষায় এই চিঠি দেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, সাধারণ মানুষের সমস্যায় মুখ বুজে বসে থাকবে না রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার করে দিয়েছেন, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন সংশোধনের ফলেই চাল-ডাল-তেল ও আলু-পিঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। অবিলম্বে এর একটা সুরাহা হওয়া প্রয়োজন বলে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে দেওয়া চিঠিতে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।
নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশ ছোঁয়া। আলু, পেঁয়াজ সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে। এভাবে আলো, পেঁয়াজের দাম বাড়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বভাবতই বাড়ছে ক্ষোভ। শুধু তাই নয়, বাজারে গিয়ে রীতিমত নাভিশ্বাস অবস্থা। এই অবস্থায় বারবার বাজারে হানা দিয়েছে রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্স। দামের বিষয়ে সেভাবে নিয়ন্ত্রণ না সম্ভব হয়নি। এবার তাই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নিয়ে ময়দানে নামল তৃণমূল।
ইতিমধ্যে আলু, পেঁয়াজ সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে পথে নেমেছে শাসকদল তৃণমূল। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীকে কড়া চিঠি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, আলু-পিঁয়াজ মজুত করে কৃত্রিম অভাব তৈরি করছে ব্যবসায়ীদের একাংশ। অনেক অসাধু ব্যবসায়ীই বেশি লাভের লোভে এই কাজ করছেন বলে অভিযোগ তাঁর। মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে উল্লেখ করেছেন যে, নয়া আইনের কারণে কৃষিপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে রাজ্য সরকারের আর কোনও ভূমিকাই থাকল না। কিন্তু এভাবে মূল্যবৃদ্ধি হতে থাকলে রাজ্যগুলিকে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা দেওয়ার কথা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।