করোনার টিকার জোগান বৃদ্ধি এবং বাংলার নাম পরিবর্তন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকের পর বেরিয়ে সাংবাদিকদের এই কথাই জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃতীয় বার মুখ্যমন্ত্রী হবার পর এটাই ছিল তাদের প্রথম একান্ত বৈঠক। এই সাক্ষাতকে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলেই দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর রাজধানী সফরে আজ ছিল দ্বিতীয় দিন।
মঙ্গলবার বিকেল চারটে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে পৌছান মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় ৪৫ মিনিট তাদের বৈঠক চলে। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের বৈঠক থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে সময় চেয়েছিলাম বাংলার ভোটে জনতার আশীর্বাদ পেয়েছি। তারপর থেকে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি সঙ্গে দেখা করার সময় পায়নি। কলাইকুন্ডায় একান্ত বৈঠকে সুযোগ ছিল না। আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ হলো। নির্বাচনের পর সাংবিধানিক রীতি মেনে দেখা করতে হয় এটা সেই সৌজন্য বৈঠক।
রাজ্যে করোনার টিকা কম পাঠানো হচ্ছে বলে বরাবর অভিযোগ করে আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন প্রধানমন্ত্রীর কাছেও রাজ্যের সেই দাবি তুলে ধরেন তিনি। মমতা বলেন, “অনেক রাজ্যের থেকে কম টিকা পেয়েছে বাংলা। পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যার নিরিখে এই সরবরাহ যথেষ্ট নয়। আমাদের টিকাকরণের হার ভালো। ইতিমধ্যেই সংক্রমণ ৩৩ শতাংশ থেকে কমে ১ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। তবে আমরা চাই করোনার তৃতীয় ঢেউ আসার আগে পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেকের টিকাকরণ সম্পন্ন করতে। সেকথা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি। উনি বলেছেন বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবেন।
এর পাশাপাশি বাংলা নাম পরিবর্তনের বিষয়টি বিধানসভায় পাস হলেও তা দীর্ঘদিন ঝুলে রয়েছে। সেই বিষয়টিও দেখার অনুরোধ করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, “অনেকদিন ধরেই পশ্চিমবঙ্গের নাম বদল নিয়ে কথা হচ্ছে। আমি বলেছি এবার দয়া করে বিষয়টি দেখুন।”
মমতা আরও জানান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বৈঠক ভালো হয়েছে। তিনি তার সমস্ত কথা শুনেছেন এবং তার দাবিগুলি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে এদিনের বৈঠকে উপনির্বাচন নিয়ে কোনো কথা হয়নি বলেও জানা গেছে।