১০ বছর উন্নয়নের সামনে শুধু প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছেন মমতা : প্রধানমন্ত্রী

পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নের সামনে শুধু প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছেন মমতা দিদি। ১০ বছর ধরে বাংলার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন দিদি। শনিবার পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের জনসভায় এভাবেই মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদী এদিন বলেছেন, “সাইকেল থেকে রেল, কাগজ থেকে স্টিল, অ্যালুমিনিয়াম থেকে কাঁচ-দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই সমস্ত কারখানায় কাজ করতে মানুষ এখানে আসেন। দেখতে গেলে, আসানসোল মিনি ইন্ডিয়া। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষদের এখানে দেখা যায়। কিন্তু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের জন্য আসানসোল প্রভাবিত হয়েছে।” মমতাকে ‘অহঙ্কারী’ আখ্যা দিয়ে মোদী বলেছেন, “দিদির অহঙ্কার বেড়ে গিয়েছে। কেন্দ্রের ডাকা কোনও বৈঠকেই দিদি যান না। বাংলার মানুষের হয়ে কথা বলার সময় নেই দিদির।”
এদিন জনসভার শুরুতেই মোদী বলেছেন, “আমি নববর্ষের পরে প্রথম এলাম। এত বেশি লোক কোনও সভায় দেখিনি। চার দফার ভোটদান, দিদি-ভাইপো খান-খান। বাকি চার দফার ভোটদান, দিদি-ভাইপো টিকিট কাটান।” তৃণমূলকে খোঁচা দিয়ে ও আক্ষেপের সুরে মোদী বলেছেন, “আসানসোল দেশের শিল্পনগরী হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু, এত দিন ধরে আসানসোলে কয়লার মাফিয়া রাজ চলেছে।এই টাকা কার কাছে গিয়েছে সবাই জানে। রাজ্যে সবাইকে ভাইপো ট্যাক্স দিতে হয়। এই মাফিয়া রাজ খতম করতে পারে আপনাদের ভোট। ১০ বছর আপনাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন দিদি। বাংলার উন্নয়নের সামনে প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছেন। তাই এ বার বিজেপি-কে ক্ষমতায় আনুন। বিজেপি সোনার বাংলা গড়বে। বাংলায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে। দিদি আর তো ১ মাসও বাকি নেই। কয়লা ধুলেও ময়লা যায় না।” মোদী বলেছেন, “দিদির অহঙ্কার বেড়ে গিয়েছে। কেন্দ্রের ডাকা কোনও বৈঠকেই দিদি যান না। বাংলার মানুষের হয়ে কথা বলার সময় নেই দিদির। শুধু আমাকে খারাপ কথা বলাই নয়, দিদি কেন্দ্রীয় বাহিনী, জওয়ানদেরও খারাপ কথা বলছেন। আক্রমণ করছেন। কোচবিহারে ৫ জনের দুঃখজনক মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করেছেন দিদি। অডিয়ো টেপ সামনে এসেছে, মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি দিদির পুরনো অভ্যাস। বাংলার জনতা দিদিকে আজীবনের জন্য একটা সার্টিফিকেট দিয়ে দেবে। সেটা হল ‘প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী’। সেটা নিয়ে ঘুরে বেড়াবেন।”আসানসোলের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, “আসানসোলে রামনবমীর দিন হিংসার ঘটনা আমরা ভুলতে পারি না। সেই সময় তুষ্টিকরণের রাজনীতি করেছিলেন দিদি। তাই এ বার বাংলায় আসল পরিবর্তন হবে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে মহিলাদের সুরক্ষার দিকে জোর দেওয়া হবে। ধর্ষণের মতো ঘটনার জন্য ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট গড়ে তোলা হবে। এ বার সংঘাত নয়, উন্নয়ন হবে। হিংসা নয়, পেটে ভাত হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.