মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকীকরণের প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করল দারুল উলুম দেওবন্দ। তাদের দাবি, মাদ্রাসার পাঠ্যক্রম আধুনিক করলে মাদ্রাসা শিক্ষা তার উদ্দেশ্য হারাবে। মাদ্রাসা তাই শিক্ষার আধুনিকীকরণের কোনও প্রয়োজন নেই। বরং পুরোনো নিজামি ধাঁচের সিস্টেম ধরে রাখা উচিত। আধুনিক শিক্ষার প্রবেশ মানেই মাদ্রাসার শিক্ষা অর্থহীন হয়ে পড়া।
দেওবন্দের মুহতামিম (ভাইস চ্যান্সেলরের সমতুল্য পদ) মাওলানা মুফতি আব্দুল কাসিম নোমানী বলেন, ‘কিছু অজ্ঞ ব্যক্তি মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকীকরণের পক্ষে মত প্রকাশ করছেন। তাঁরা মাদ্রাসায় আধুনিক পাঠ্যক্রম চালু করার পক্ষে। কিন্তু আমাদের তার কোনও প্রয়োজন নেই। এইসব প্রস্তাবকে ঐক্যমতভাবে প্রত্যাখ্যান করা উচিত এবং পুরোনো নিজাম ধাঁচের শিক্ষা ব্যবস্থা চালু রাখা উচিত’।
তিনি আরও বলেন যে মাদ্রাসায় বর্তমানে যে পাঠক্রম রয়েছে, তা মাদ্রাসার আসল উদ্দেশ্যকে মাথায় রেখেই করা হয়েছে। আর সেই পাঠক্রম পরিবর্তন করে যদি আধুনিক শিক্ষার উপযোগী পাঠক্রম চালু করা হয়, তবে এই মাদ্রাসা শিক্ষার কোনও মূল্য থাকবে না।
প্রসঙ্গত, দারুল উলুম দেওবন্দের তরফে এমন বক্তব্য রাতারাতি আসেনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বারবারই মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকরণের পক্ষে বলে আসছেন। মুসলিম শিশুদের বেশি করে মুলস্রোতে ফেরাতে এমন উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলে আসছেন তিনি। মাদ্রাসায় বিজ্ঞান শিক্ষা ও কম্পিউটার চালু করা, অন্যান্য বৃত্তিমূলক শিক্ষা চালু করার পক্ষেই মুখ খুলেছেন মোদী। কিন্তু দারুল উলুম দেওবন্দ, যা সরাসরি দেশের লাখ লাখ মাদ্রাসাকে প্রভাবিত করে, সেই আধুনিক শিক্ষার বিরুদ্ধে।