পঞ্চায়েত ভোটের আগে কেষ্টহীন বীরভূমকে পাখির চোখ করে ফেলেছে পদ্ম শিবির। প্রার্থী নির্বাচন থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত ভোটের লড়াই, বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব বীরভূমকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে। তাই বীরভূমে সভা করতে এসে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব সহ লাভপুর থানার আইসি ও বীরভূমের এসপিকে হুঁশিয়ারি দিতেও শোনা বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে।
বুধবার একান্ন সতী পীঠের অন্যতম ফুল্লরাতলা মন্দিরে পুজো দেন সুকান্ত মজুমদার। পুজো দিয়ে মন্দির থেকে লাভপুরের পুরনো বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত মিছিল করেন তিনি। মিছিলের শেষে লাভপুরের পুরনো বাসস্ট্যান্ডে পথসভাও করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, লাভপুর থানার আইসি, বীরভূম জেলার এসপি, বীরভূম জেলার তৃণমূলের কোর কমিটি সদস্য কাজল শেখ এবং বীরভূম জেলার পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল করিম খানকে হুঁশিয়ারি দেন সুকান্ত মজুমদার। এছাড়াও ২৭ জন বাম কর্মীকে বিজেপিতে যোগদান করান সুকান্ত।
সভা মঞ্চ থেকে সুকান্ত মজুমদার হুঁশিয়ারি দেন লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিনহাকে। তিনি বলেন, “অভিজিৎ সিনহা তার মেয়েকে নেপালে পড়াচ্ছেন। এত টাকা তিনি কোথা থেকে পাচ্ছেন?” বীরভূম জেলার পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ও বীরভূম জেলার কোর কমিটির সদস্য আব্দুল করিম খানকে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। অভিযোগের সুরে সুকান্ত বলেন, “রামনবমীতে কীর্নাহারে কিছু মানুষ এসেছিল। তাদের পার্টি অফিসে ডেকে হুমকি দেন কাজল শেখ। তুমি কত বড় বাপের বেটা হয়েছো? তোমাদের মত নেতাদের কভাবে সাইজ করতে হয় আমার জানা আছে। কান ধরে বেঞ্চের উপর দাঁড় করিয়ে রাখবো, যত করিম আছো আর কাজল আছো পরিষ্কার কথা বলে দিচ্ছি। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে থাকবে তোমাকে বিরোধীরা সম্মান দেবে। কিন্তু আমার কোনও কর্মীর গায়ে যদি হাত পড়ে সে হাতের ব্যবস্থা করার মত ক্ষমতা ভারতীয় জনতা পার্টির আছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে যদি কোনও কর্মীর গায়ে হাত পড়ে সে কাজল শেখ হোক করিম খান হোন তার ব্যবস্থা বিজেপি করবে।”
মঙ্গলকোট বিধানসভার বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরীকেও হুঁশিয়ারি দিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, “তিনি আবার বড় বীর। অনুব্রত মণ্ডলকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিল বীরের মতো সম্মান দিতে হবে। এ আরেক বীর। পঞ্চায়েতে ঘোষণা করে বলেছে, বিজেপিকে নাকি লড়াই করতে দেবে না। বিজেপিকে নাকি নমিনেশন ফাইল করতে দেবে না। কত বড় মস্তান আপনি? কত দম আছে? বিজেপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। কিন্তু যদি ইট মারে পাথর কিন্তু খেতে হবে।”