কসবা টিকা কাণ্ডে তৃণমূল নেতারা সরাসরি জড়িত বলে শুরুর দিন থেকেই অভিযোগ করে আসছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্ত দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও হয়েছে। এরই মধ্যে সোমবার কলকাতা পুরসভা ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছে বিজেপি। কিন্তু করোনার কারণে রাজ্যে এখনও বলবৎ রয়েছে কড়া বিধিনিষেধ। বড় জমায়েতে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু এরই মধ্যে ভ্যাকসিন কাণ্ডে সুর আরও চড়াতে ‘নিয়ম’ ভেঙেই পুরসভা অভিযানে নামছে গেরুয়া শিবির।
সূত্রের খবর, বাইরের জেলা থেকে নয়, বরং কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকেই কর্মীদের এনে পুরসভা ঘেরাওয়ের পরিকল্পনা নিয়েছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু তাতেও যে পুলিশের তরফে বাধা আসবে, তা বিলক্ষণ জানেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। তাই ‘গোপন’ অভিযানের রুটম্যাপ তৈরি করে রেখেছেন তাঁরা। গেরুয়া শিবিরের অন্দরের খবর, মূলত মহিলাদের সামনে রেখেই হবে অভিযান। তাতে পুলিশি বাধার পরিমাণ কিছুটা কম হলেও হতে পারে। কিন্তু কোন পথ দিয়ে হবে ওই ঘেরাও অভিযান, তা গোপনই রাখতে চাইছে গেরুয়া শিবির। যদিও বাছাই নেতানেত্রীদের কাছে ‘রুট’ বলে দেওয়া হয়েছে। সেই মতোই তাঁরা এগিয়ে যাবেন পুরসভা অভিমুখে।
পুরভোটকে আপাতত পাখির চোখ করে কলকাতা কর্পোরেশন দিয়ে শুরু করে রাজ্যজুড়ে পুরসভা অভিযানের কর্মসূচি নিচ্ছে বিজেপি। জুলাই মাসজুড়ে জেলায় জেলায় কর্মসূচি শুরু করতে চায় তাঁরা। রাজনৈতিক মহলের মতে, দল ও সংগঠনকে চাঙ্গা করতে পুরভোটকে সামনে রেখে ‘ওয়ার্ম আপ’ শুরু করে দিল বিজেপি।
প্রসঙ্গত, বিজেপি নেতারা বারবার অভিযোগ করে আসছেন, জাল ভ্যাকসিন নিয়ে যদি কেউ মারা যেতেন, তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস কেন্দ্রীয় সরকারের নামে দোষ দিত। বলা হত মোদি সরকার ভুয়ো ভ্যাকসিন পাঠিয়েছে বলেই মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, ভুয়ো টিকা কাণ্ডে তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীরা সরাসরি জড়িত। তাই ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে বারবার সরব হলেও করলেও বাংলায় আন্দোলন জমাতে না পারা বিজেপি ভুয়ো ভ্যাকিসন কাণ্ডকেই হাতিয়ার করতে চাইছে।
জাল ভ্যাকসিন-কাণ্ড সামনে আসতেই রাজ্য বিজেপির নেতা সায়ন্তন বসু জানিয়েছিলেন, জুলাই মাসের শুরুতেই লালবাজার ঘেরাও করা হবে। কিন্তু তখন বিজেপি নেতৃত্বের আশা ছিল, জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে লোকাল ট্রেন চালু হয়ে যাবে। কিন্তু তা যে চালু হবে না, তা স্পষ্ট। তাই বিজেপির লক্ষ্য আপাতত কলকাতা পুরসভা ঘেরাওকে বড়ভাবে তুলে ধরা।