ক্ষমতায় এলে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই চালু হবে ‘কিষাণ সম্মান নিধি’, হলদিয়ায় বড় ঘোষণা মোদির

হলদিয়ার জনসভা থেকে ফের চেনা অস্ত্রে রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তাঁর অভিযোগ, শুধুমাত্র তৃণমূল সরকারের রাজনৈতিক দূরভিসন্ধির জন্য ‘প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি’, ‘আয়ুষ্মান ভারতে’র মতো জনকল্যাণ মূলক প্রকল্পের সুবিধা রাজ্যবাসী পাননি। মোদির ঘোষণা, রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই চালু করা হবে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্প। শুধু তাই নয়, তৃণমূল সরকারের বাধার জন্য রাজ্যের লক্ষ লক্ষ কৃষক যে দু’বছরের কিষাণ সম্মান নিধির টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, সেটাও দেওয়া হবে রাজ্যবাসীকে।

হলদিয়ার সভা থেকে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন, বাংলার গরিবরা কি শুধু ভোট নেওয়ার জন্য? এটা সেই সরকার, যারা বিপদের সময়ও দুর্নীতির রাস্তা খোঁজে। আমফানের সময় মানুষের সাহায্যের জন্য কেন্দ্র যে টাকা পাঠিয়েছে, সেটা নিয়ে এঁরা কি করেছে তা সকলেই জানে। কেন্দ্রের দেওয়া বিনামূল্যে রেশনও এখানকার গরিবদের কাছে পৌঁছে দিতে পারেনি রাজ্য। আমাদের ভাগ্য ভাল যে বাংলার ৪ কোটি মানুষের জনধন অ্যাকাউন্ট ছিল। সেজন্যই সরাসরি কেন্দ্র টাকা দিতে পেরেছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন,”আমার খুব কষ্ট হয়, করোনার এই কঠিন সময়েও বাংলার লক্ষ লক্ষ কৃষক কোটি কোটি টাকা পাননি। করোনার সময় দেশের লক্ষ লক্ষ কৃষক কিষাণ সম্মান নিধি (PM Kishan) যোজনার আওতায় হাজার হাজার কোটি টাকা পেয়েছেন। এর মধ্যে বাংলারও লক্ষ লক্ষ কৃষক থাকতে পারতেন। কিন্তু এখানকার একজন কৃষকও এই সুবিধা পাননি। কারণ, এখানকার সরকার এই যোজনায় যুক্তও হয়নি। বাংলার মানুষ ওদের সরিয়ে দেবে এটা বুঝতে পেরেই কদিন আগে অনিচ্ছা সত্ত্বেও কেন্দ্রকে সম্মতি দিয়ে চিঠি লিখেছে। কিন্তু এঁরা চায় না সরাসরি কৃষকের অ্যাকাউন্টে টাকা যাক। ইতিমধ্যেই বাংলার ২৫ লক্ষ কৃষক রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেছেন। কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ৬ হাজার কৃষকের নাম এঁরা জমা দিয়েছে। সেই ৬ হাজার কৃষকেরও ব্যাংক ডিটেল কেন্দ্রকে এখনও দেয়নি রাজ্য সরকার। মা-মাটি-মানুষের কথা বলে অথচ তাঁর সংবেদনহীনতা গোটা রাজ্য দেখেছে। কারা কৃষকদের নাম নিয়ে রাজনীতি করছে, আর কারা কৃষকদের সমস্যার সমাধান করছে, গোটা দেশের লোক দেখছে।”

হলদিয়ার সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মমতার সরকার কতটা গরিব বিরোধী তার প্রমাণ ‘আয়ুষ্মান ভারত’ কার্যকর না করা। এখানকার সরকার শুধু রাজনীতির জন্য, নিজেদের কর্মীদের পকেট ভরানোর জন্য কৃষক এবং গরিবদের ভাল করতে দেয় না। কিন্তু রাজ্যের সব বাধা উপেক্ষা করেই কেন্দ্র বাংলার উন্নয়নের চেষ্টা করে যাচ্ছে। এরপরই মোদি ঘোষণা করেন, “বিজেপির সরকার বাংলায় তৈরি হবে। তারপর মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই রাজ্যে কিষাণ সম্মান নিধি চালু করা হবে। শুধু তাই নয়, এতদিন এই প্রকল্প চালু না হওয়ায় রাজ্যের কৃষকদের যে ক্ষতি হয়েছে, সেই টাকাটাও পাবেন কৃষকরা।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.