আবারও তৃণমূল ও সিপিএমের ঘর ভাঙলো বিজেপি। শুক্রবার গেরুয়া শিবিরে যোগ দিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক স্বদেশরঞ্জন নায়েক এবং মালদহের গাজলের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক সুশীল চন্দ্র রায়। দুজনের হাতেই পদ্মফুলের ঝাণ্ডা তুলে দিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
বিধানসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে তত দল ভাঙানোর হিড়িক বাড়ছে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে। দুই দলই প্রায় প্রতিদিনই অন্য দল থেকে যোগদান করাচ্ছে। তবে একুশে জুলাইয়ের পর থেকে বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদানই বেশি দেখা যাচ্ছে। এদিন তৃণমূল ও সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়কদের দলবদল ঘটিয়ে দিলীপ ঘোষ দাবি করেন, এই দুই নেতার যোগদানের ফলে ওই দুই এলাকায় তৃণমূলের পা কেঁপে যাবে।
উল্লেখ্য, শঙ্করপুরের বাসিন্দা স্বদেশরঞ্জন নায়েক দীর্ঘদিনের সিপিএম নেতা। ২০০৬ সালে তৃণমূলের সমরেশ দাসকে হারিয়ে বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি। পরবর্তী কালে সমরেশ দাস এগারার বিধায়ক হন। গত মাসেই সমরেশবাবু করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। যদিও ২০১১ সালে তৃণমূলের অখিল গিরির কাছে পরাজিত হন স্বদেশরঞ্জন নায়েক। জেলার রাজনৈতিক মহলের মতে, দিঘা, শঙ্করপুর-সহ সমগ্র রামনগর এলাকাতেই স্বদেশরঞ্জনের জনপ্রিয়তা রয়েছে।
সিপিএম সূত্রে খবর, বর্তমান পূর্ব মেদিনীপুরের সিপিএম জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি ও রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর তরফে জেলার দায়িত্বে থাকা রবীন দেবের সঙ্গে সংঘাতেই দীর্ঘদিন ধরেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছিলেন স্বদেশরঞ্জন নায়েক। শেষমেশ এদিন যোগ দিলেন বিজেপিতে।
অন্যদিকে, গাজলের প্রাক্তন বিধায়ক সুশীল চন্দ্র রায় ২০১১ তে কংগ্রেসের টিকিটে জিতেছিলেন তিনি। পরে তৃণমূলে যোগ দেন সুশীলবাবু। বিজেপি সূত্রে খবর, মালদহ উত্তর লোকসভার সাংসদ খগেন মুর্মুর দৌলতেই সুশীল রায় বিজেপিতে যোগ দিলেন।