সুপ্রিম কোর্টের উকিল আলাখ আলোক শ্রীবাস্তব জেএনইউ এর পূর্ব ছাত্রনেত্রী শাহেলা রাশিদের উপর একটি অপরাধিক অভিযোগ দায়ের করেছে। এই অভিযোগে জনশ্রুতি ভাবে ভারতীয় সেনা ও ভারত সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা খবর ছড়ানোর দোষে গ্রেপ্তারের দাবি করা হয়েছে। জানিয়ে দি শাহেল রাশিদ কাশ্মীরের অবস্থার উপর ১০টি টুইট করে। এতে উনি দাবি করেন যে ঘাঁটিতে অনুচ্ছেদ 370 সরানোর পর থেকে অবস্থা খুবই খারাপ, কিন্তু ওনার এই দাবি ভারতীয় সেনা বাতিল করে দেয়।।
শেহলা রশিদ সিকিউরিটি ফোর্স ও তাদের কার্য বা পদক্ষেপকে নিয়েও কিছু অভিযোগ করেছিল। উনি নিজের টুইট গুলিতে লেখেন যে আর্মড ফোর্স রাতের সময় লোকেদের বাড়িতে ঢুকছে, জেনে বুঝে খাওয়ার বা রেশনকে মাটিতে ফেলে দেয়, তেলে চাল মিশিয়ে দেয়। শেহলা রশিদ আরো লেখেন- শোপিয়াতে(দক্ষিণী কাশ্মীর) চার জন লোককে আর্মি ক্যাম্পে ডেকে তাদের উপর টর্চার করা হয়েছে। এরকম করার সময় একটি মাইক তাদের মুখের সামনে রাখা হয় যাতে তাদের চেচাঁনোর আওয়াজ পুরো এলাকার লোকেরা শুনতে পারে আর এই কারণে পুরো এলাকায় ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি হয়ে আছে।
এছাড়া উনি আরো লেখেন যে ” কাশ্মীর থেকে কিছু লোক আসছে যারা সেখানের পরিস্থিতির ব্যাপারে কিছু বলছে:
১) শ্রীনগর ও প্রতিবেশী এলাকায় একটু মুভমেন্টের অনুমতি আছে। লোকাল প্রেসের উপর সীমাবদ্ধতা তৈরি করা হয়েছে।
২) খাওয়ার বানানোর গ্যাসের ঘাটতি হয়েছে। গ্যাস এজেন্সি গুলি বন্ধ হয়ে গেছে।
৩) গ্যাস স্টেশন বিকেল ৭ তার পর খোলে। শহরী এলাকায় পেট্রোল ও ডিজেল উপলব্ধ আছে। হাইওয়ের কিছু জায়গায় ফিলিং স্টেশন খোলা আছে।
৪) রেশন পাওয়া যাচ্ছে।বাচ্চাদের খাওয়ার পেতে অসুবিধা হচ্ছে। লোকেদের কাছে ওষুধ শেষ হয়ে আসছে।
এই সব মিথ্যা অভিযোগের জবাব ভারতীয় সেনা দিয়েছে। নিউজ এজেন্সি ANI অনুযায়ী, ভারতীয় সেনা বলেন, শেহলা রশিদ দ্বারা লাগানো অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। এগুলিকে বাতিল করা হলো। বাজে মানসিকতা ও সংগঠন জনতাদের উত্তপ্ত করার উদ্দেশ্যে এরকম মিথ্যা খবর ছড়ানো হয়।