কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিলেন পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক তথা এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক জিতিন প্রসাদ। বুধবার দিল্লিতে বিজেপির দফতরে গিয়ে পীযুষ গয়ালের থেকে পদ্ম পতাকা হাতে তুলে নেন তিনি।
উত্তরপ্রদেশে আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বড় ধাক্কা কংগ্রেসের। রাহুল গান্ধীর আরও এক ঘনিষ্ঠ নেতা কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন। গত দু’বছর তিনি পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক ছিলেন জিতিন প্রসাদ। বামফ্রন্ট-কংগ্রেস ও আইএসএফের মধ্যে জোট হয়েছিল তাঁর পর্যবেক্ষণেই। কিন্তু বাংলার ভোটে কংগ্রেসের ভরাডুবি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ইতিহাসে এই প্রথমবার কংগ্রেসের কোনও প্রতিনিধি নেই। ভোটে হারের পর থেকেই আর বাংলায় দেখা যায়নি তাঁকে।
সদ্য প্রয়াত কংগ্রেস নেতা জিতেন্দ্র প্রসাদের পুত্র জিতিন। কংগ্রেসে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন বাবার হাত ধরেই। উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে প্রভাব রয়েছে প্রসাদ পরিবারের। আগামী বছরই উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোট। রাজনৈতিক মহল মনে করছে তার আগে জিতিনের বিজেপি যোগ নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা কংগ্রেসের। তার কারণ, উত্তরপ্রদেশে অত্যন্ত পরিচিত ব্রাহ্মণ মুখ তিনি। বিজেপিতে তিনি যোগ দেওয়ায় কংগ্রেসের উচ্চবর্ণের ভোটব্যাঙ্কে আরও ধস নামবে বলে রাজনৈতিক মহলের অভিমত। যোগদানের পর জিতিন বলেন, ‘গত তিন প্রজন্ম ধরে আমাদের পরিবার কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত আছে। কিন্তু গত আট থেকে ১০ বছর ধরে আমি অনুধাবন করতে পারছিলাম যে যদি কোনও জাতীয় দল থাকে, সেটা হল বিজেপি।’ উল্লেখ্য, জিতিন ২৩ জন কংগ্রেস নেতার একজন যাঁরা সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে শীর্ষ নেতৃত্বে বদলের দাবি তোলেন।
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হন অজয়কুমার লল্লু। দায়িত্ব পেয়েই সংগঠনে রদবদলের কাজ শুরু করেন নতুন সভাপতি। কিন্তু তাঁর কাজ নিয়ে তীব্র আপত্তি ছিল জিতিনের।
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের সময়ও জিতিন প্রসাদের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সেই জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছিলেন জিতিন নিজেই৷ ২০০৪ এবং ২০০৯ সালে সাহাজাহানপুর এবং দৌরাহরা লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে জেতেন জিতিন। তবে ২০১৪ সালে ভোটে হেরে যান।