করোনা যুদ্ধে একেবারে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ডাক্তার থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা। আক্রান্তও হচ্ছেন তাঁরা। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হচ্ছে তাঁদের। এই পরিস্থিতিতে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল মোদী সরকার। স্বাস্থ্য বিমার মেয়াদ বাড়াল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে।
পড়ুন আরও- মোদীর স্বাস্থ্য বিমা পরিকল্পনায় জল ঢেলে দিলেন মমতা
মন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, স্বাস্থ্য বিমার মেয়াদ ১৮০ দিন বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে বহু মানুষের সুবিধা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ প্যাকেজ বিমা প্রকল্প নিয়ে আসে মোদী সরকার। এই প্রকল্পে গত ৩০ মার্চ করোনা যোদ্ধাদের স্বাস্থ্যবিমার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল।
পড়ুন আরও- একমাসের মধ্যে তৈরি হয়ে যেতে পারে করোনার ভ্যাকসিন : ট্রাম্প
যারা একেবারে সামনে থেকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁদের কথা ভেবেই এই স্বাস্থ্যবিমা নিয়ে আসা হয়। প্রথম পর্বে এই স্বাস্থ্য বিমার মেয়াদ ছিল তিন মাস। পরবর্তীকালে তা আরও তিনমাস বাড়িয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করা হয়। এবার সেই মেয়াদই আরও ছ’মাস বাড়ানো হল।
করোনা যেভাবে বাড়ছে সেদিকেই তাকিয়ে এহেন সিদ্ধান্ত মোদী সরকারের। প্রকাশিত খবর মোতাবেক, এই স্বাস্থ্যবিমার আওতায় থাকা ব্যক্তিরা ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কভারেজ পেতে পারেন। এর মধ্যে কমিউনিটি হেলথ ওয়ার্কার বা জনস্বাস্থ্যকর্মীরা যাঁরা কোভিড-১৯ আক্রান্তের সেবা করছেন তাঁরাও রয়েছেন। প্রত্যেকদিন হু হু করে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। একেবারে সামনে থেকে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্মীরা।
তাতে প্রত্যেকদিন আক্রান্ত হচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্মীরা। সেদিকে তাকিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কেন্দ্রের তরফে। এই স্বাস্থ্যবিমার আওতায় রয়েছেন বেসরকারি হাসপাতালের কর্মীরা, অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি, স্বেচ্ছাসেবক সহ করোনা যুদ্ধে সামিল ব্যক্তিরা।
অন্যান্য স্বাস্থ্য বিমার থেকে কেন্দ্রের এই স্বাস্থ্য বিমা অনেকটাই আলাদা। কভারেজের ঊর্ধ্বসীমা যেমন বেশি তেমনই ব্যক্তিগত ভাবে নাম নথিভুক্তকরণের প্রয়োজন হয় না। এই বিমার প্রিমিয়ামের পুরোটাই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক বহন করে।
প্রিমিয়ামের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার নিউ ইন্ডিয়া অ্যাসিওরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে ইতিমধ্যেই ৬১ জনকে বিমার টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ১৫৬টি আবেদন খতিয়ে দেখছে নিউ ইন্ডিয়া অ্যাসিওরেন্স কোম্পানি। রাজ্যগুলির তরফে ৬৭টি আবেদন এখনও জমা পড়া বাকি।