ভারত চিনের সম্প্রসারণবাদী নীতির কড়া জবাব দিয়েছে তবে ভবিষ্যতে আরও সতর্ক থাকার এবং সেনাবাহিনীকে অধিক শক্তিশালী করার দরকার রয়েছে। রবিবার বিজয়াদশমী উপলক্ষে নাগপুরে সংঘের সদর দফতর থেকে সংঘের কর্মীদের উদ্দেশে এমনটাই বললেন সরসঙ্ঘচলক ডাঃ মোহন ভাগবত । এদিন তিনি করোনা মহামারী মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করে বলেন, এই রোগটি বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতে কম ক্ষতি করতে পেরেছে ।সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত এদিন আরও বলেন, সঙ্কটের এই পরিস্থিতিতে আমাদের ভারত বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় আরও ভালভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বলে মনে হয়। ভারতে এই মহামারী ধ্বংসের প্রভাব অন্যান্য দেশের তুলনায় কম দেখা যাওয়ার নির্দিষ্ট কিছু কারণ রয়েছে। ভারত আগে থেকেই করোনার প্রভাব সম্পর্কে আঁচ করতে পেরেছিল এবং প্রশাসন কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়ম চালু করে সেগুলি কার্যকর করার পদক্ষেপ নেয়। তিনি বলেন, যে করোনার চাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার পথ খোঁজা উচিত। হতাশা ও অবসাদ কাটিয়ে উঠতে সবাই মিলে একসাথে চেষ্টা করুন। সঙ্ঘের প্রধান মোহন ভাগবত করোনার মহামারী মোকাবিলায় নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করে বলেন, এই রোগটিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতে কম ক্ষতি হয়েছে।সংঘ প্রধান বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে ডাক্তার, সাফাইকর্মী ও নার্সরা দায়িত্ব সহকারে নিজেদের সেবা দিয়ে চলেছেন। সাধারণ মানুষ নিজেদের সাথে সাথে অন্যদের যথাসাধ্য সাহয্য করতেও এগিয়ে এসেছেন। এদিন তিনি বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামের পরে এই প্রথমবার প্রশাসন ও জনগণ একসাথে মিলিত হয়ে সমাজের জন্য কাজ করার জন্য এগিয়ে এসেছে।
মহিলারা খাবার সরবরাহ করা ও মাস্ক তৈরি করা শুরু করেছেন। সরসঙ্ঘচলক ডাঃ মোহন ভাগবত বলেন, করোনা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে চিনের ভূমিকা সন্দেহজনক ছিল কিন্তু নিজের অর্থনৈতিক, সামরিক শক্তিতে স্বাবলম্বী হয়ে ভারতের সীমান্তগুলিতে যেভাবে আগ্রাসন চালানোর চেষ্টা করেছিল তা পুরো বিশ্বের কাছে পরিষ্কার।সরসঙ্ঘচলক এদিন চিনের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে বলেন, ভারত সরকার, প্রশাসন, সেনাবাহিনী এবং জনগণ সকলেই এই আক্রমণের সামনে দৃঢ় সংকল্পের সাথে দাঁড়িয়ে নিজেদের আত্মমর্যাদাবোধ ও বীরত্বের উজ্জ্বল পরিচয় দিয়েছে। চিন এটি প্রত্যাশা করেনি, তবে এই পরিস্থিতিতে আমাদের সচেতন এবং সজাগ থাকতে হবে। মোহন ভাগবত বলেন, ভারত চিনের সম্প্রসারণবাদী নীতির যথাযথ জবাব দিয়েছে তবে ভবিষ্যতে সজাগ থাকার এবং সেনাবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করার প্রয়োজন রয়েছে। চিনকে আক্রমণ করে বলেন, এখন চিনেরও এই বিষয়টি বোঝা হয়ে গেছে যে, আমরা শান্ত কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে আমরা দুর্বল । তিনি বলেন, ভবিষ্যতে এই ধরনের গাফিলতি না করে বিপজ্জনক পরিস্থিতির উপর বিশেষভাবে নজর রাখতে হবে।সেনাবাহিনীর শক্তির বিষয়ে ভাগবত বলেন, আমাদের সেনাবাহিনীর অটুট দেশপ্রেম, অদম্য বীরত্বের পরিচয় এবং আমাদের প্রশাসনের স্ব-সম্মানজনক মনোভাবের সাথে সমগ্র ভারতবাসীর নীতি ও ধৈর্যের পরিচয় প্রথমবার চিন দেখতে পেয়েছে । আমরা সবার কাছ থেকে বন্ধুত্ব চাই, এটাই আমাদের স্বভাব । আমাদের সদিচ্ছাকে দুর্বলতা হিসাবে বিবেচনা করে কেউই ভারতের উপর বল প্রয়োগ করে মাথা নত করাতে পারবে না। এটা এখন সবাইকে বুঝতে হবে।