হিন্দুরা কেন নির্যাতিত হচ্ছে বারবার?
হজরত মহম্মদকে নিয়ে নূপুর শর্মার মন্তব্যের বিরুদ্ধে এককাট্টা হয়েছিল সবকটা ইসলামিক দেশ। ভারতের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠানো থেকে গরম গরম বিবৃতি, বাদ যায়নি কিছুই। পরিস্থিতি এমন জায়গায় যায়, নূপুর শর্মাকে বরখাস্ত করতে বাধ্য হয় বিজেপি।
অন্যদিকে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর মুসলিম মৌলবাদীদের আক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে। অথচ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে ভারত। পদক্ষেপ নেওয়া তো দূরের কথা, নিন্দা জানিয়ে একটি বিবৃতিও জারি করেনি এদেশের সরকার। ঠিক এমন সময়ে বাংলাদেশের নির্যাতিত হিন্দুদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের নিরাপত্তার দাবিতে জোরদার চর্চা হলো ডাচ পার্লামেন্টে।
গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায়, বিশেষ করে নড়াইলের হিন্দুদের বাড়িঘরে ভাঙচুর, লুটপাট ও আগুন দেওয়া নিয়ে ডাচ পার্লামেন্টে সরব হলেন সে দেশের সাংসদ গ্রিট ওয়াল্ডার্স। সে দেশের হিন্দুদের নিরাপত্তা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষায় ডাচ বিদেশ মন্ত্রক কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন তিনি।
উইল্ডার্স বলেন, ‘আপনারা কেন মুসলিমদের দ্বারা হিন্দুদের উপরে আক্রমণের নিন্দা জানাচ্ছেন না? যদি না জানান, তবে কেন? ’ হিন্দুদের নিরাপত্তায় বাংলাদেশের সরকারের উপরে চাপ সৃষ্টি করা, নিদেন পক্ষে আবেদন জানাতে কি আপনারা প্রস্তুত? যদি না হয়, তবে কেন? ’ নুপুর শর্মা ইস্যু নিয়েও ডাচ বিদেশ মন্ত্রককে নিশানা করেন উইল্ডার্স। তিনি বলেন, ডাচ বিদেশ মন্ত্রকের উচিত ভারতের হিন্দুদের নিরাপত্তায় এবং নুপুর শর্মার সমর্থনে মুখ খোলা।