করোনা (corona)পরিস্থিতির বিচারে সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে ভারত(India)। অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতের অবস্থা ভালো। তবে যারা করোনার বিরুদ্ধে লড়ছেন, সেই স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য আমাদের আরোও সতর্ক হতে হবে। তাঁদের অবদানকে বিফলে যেতে দেওয়া যাবে না। শনিবার এমনই মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi)। এদিন তিনি বলেন করোনার উদ্দেশ্যে লড়াই এখনই বন্ধ হওয়ার না। এর আগে, তিনি দেশবাসীকে কাজে বেরোতে বলে মাস্ক ও দো গজ দূরি মেনে চলতে বলেন।
শুক্রবার একটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ডঃ জোশেফ মার থোমা মেট্রোপলিটনের ৯০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সেখানেই দেশের বিষয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি। এই অনুষ্ঠানে দেশ এবং বিদেশের মার থোমা চার্চের একাধিক অনুরাগী অংশগ্রহণ করেছিলেন।
ডঃ জোশেফ মার থোমা সম্পর্কে মোদী বলেছেন, “আমি আমার অভিনন্দন জানাই, আমি ওনার দীর্ঘায়ু এবং সুস্বাস্থ্য কামনা করি। বিশেষ করে সমাজ এবং দেশের উন্নতি জন্য অবদান বেশ অনেকটা। দারিদ্রতা এবং নারীদের উন্নতিতে তার অবদান
অপরিসীম”।
মোদী বলেন গোটা বিশ্ব এই পরিস্থিতির সঙ্গে লড়ছে। ভারতও সামিল সেই লড়াইয়ে। স্বাস্থ্যকর্মীদের সম্মান জানান। করোনা শুধু শারীরিক দুর্বলতাকেই প্রকাশ করছে না, আমাদের অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রাকেও পথ দেখাচ্ছে। তাই সবার আগে আমাদের নিজেদের শুধরাতে হবে।
এদিন প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন ভারতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সুস্থতার হার বাড়ছে। শুক্রবার বক্তব্য রাখতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, “২০২০ সালের শুরুর দিকে কিছু মানুষ মনে করেছিলেন ভারতে করোনা ভাইরাসের প্রভাব
ভয়াবহ হতে চলেছে। লকডাউনের জন্য সরকারের তরফে বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল এবং সাধারণ মানুষই মোকাবিলা করেছে।
শেষ ২৪ ঘন্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হলেন ১৮ হাজার ৫২২ জন। আরও মৃত্যু হয়েছে ৩২৪ জনের।
অন্যদিকে এই নতুন সংক্রমণ ও মৃত্যুর জেরে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ৮ হাজার ৯৫৩। এরমধ্যে অ্যাক্টিভ কেস রয়েছে ১ লক্ষ ৯৭ হাজার ৩৮৭ টি। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ লক্ষ ৯৫ হাজারের বেশি মানুষ ও মৃত্যু হয়েছে ১৫ হাজার ৬৮৫ জনের।
দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৫২ হাজারের বেশি মানুষ। দেশজুড়ে মোট মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে ১৫, ৩০১। এই নিয়ে টানা ৭ দিন দেশে ১৪ হাজারের বেশি মানুষ প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছেন।
দেশজুড়ে প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। শুক্রবার ১৭ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হওয়ায় ৫ লক্ষের গণ্ডি পেরিয়ে গেছে দেশ।