নন্দীগ্রাম রওনা হওয়ার আগে নবনির্মিত মাঝেরহাট ব্রিজ (Majherhat Bridge) পরিদর্শন করলেন রাজ্যের পুর নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। ব্রিজের প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। দ্বিতীয় বিদ্যাসাগর সেতুর আদলে তৈরি চার লেনের মাঝেরহাট ব্রিজের কাজ একেবারে শেষ পর্যায়ে। সুইৎজারল্যান্ড থেকে আনা বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন কেবিল লাগানোর কাজও শেষ হয়েছে। এই কাজের জন্যে সুইৎজারল্যান্ড থেকে প্রায় ৮৪ মেট্রিক টন কেবল বা স্ট্র্যান্ড আনা হয়েছে। মোট ৮৪টি ডাক্টের মধ্যে দিয়ে এই ৮৪ মেট্রিক টনের কেবল বা স্ট্র্যান্ড পাঠানো হবে। যা নয়া সেতুর ছয় পিলারের মধ্যে দিয়ে যাবে। সেতুর ভার ধরে রাখবে।
মাঝেরহাট নয়া সেতু কেবল স্টেয়ড হওয়ার কারণে, যে স্ট্র্যান্ড বা কেবল ব্যবহার করা হচ্ছে তা অত্যন্ত আধুনিক মানের। উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন এই কেবল এইচ ডি কেবল বলেও পরিচিত। এই বিশেষ কেবল বা স্ট্র্যান্ড গুলো একটি মোটা ডাক্টের মধ্যে দিয়ে পাঠানো হবে। সেই ডাক্ট আবার দু’টি প্রান্তে গ্রাউটিং করা হবে। যাতে কেবল টান টান অবস্থায় থাকে। অপেক্ষা শুধুমাত্র অল্প কিছুদিনের। তার জন্য মাটি লেভেলিংয়ের কাজও চলছে জোর কদমে। আর বাকি স্ট্রিট লাইট লাগানো। ব্রিজের পাশের দেওয়ালের নীল সাদা রঙের প্রলেপের কাজ শুরু হয়ে গেছে। ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ভরদুপুরে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে মাঝেরহাট ব্রিজ। মারা যেন ১ জন, জখম হন বেশ কয়েকজন। তারপরই রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নেয় মেরামত নয়, নতুন করেই তৈরি হবে মাঝেরহাট ব্রিজ। এক বছরের মধ্যেই নতুন ব্রিজের কাজ শেষ করতে হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিলেও রেলের অনুমতি পেতে বেশ কিছুটা দেরি হওয়ায় থমকে গিয়েছিল কাজ। রেলের অনুমতি পাওয়ার পরেই জোরকদমে শুরু হয় শেষ পর্যায়ের কাজ। পুরোপুরি আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি, অত্যধিক ভার বহনকারী মাঝেরহাট ব্রিজ তৈরি হয়ে গেলে শহরের গতি আরও বেড়ে যাবে। যেহেতু ব্রিজ তৈরির কাজ একেবারে শেষ পর্যায়ে।