পাকিস্তানে হিন্দু তরুণীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ইসলামে ধর্মান্তকরণ! প্রতিবাদে পথে সংখ্যালঘুরা

পাকিস্তানে আবারও ঘটল হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা। এবারে অভিযোগ উঠেছে যে, এক হিন্দু তরুণীকে অপরহরণ করে তাঁকে ধর্মান্তরণ ঘটানো হয়েছে। একইসঙ্গে এও অভিযোগ উঠেছে যে, স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন সবকিছু জানার পরেও এক ব্যাপারে নীরবতা বজায় রেখেছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরই বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করেছেন পাকিস্তানের সংখ্যালঘুরা তথা স্থানীয় হিন্দুরা।

ঘটনাটি ঘটেছে চলতি মাসে ৬ তারিখে। ওইদিন ১৬ বছরের করিনা অপহৃত হয় বলে অভিযোগ। একইসঙ্গে এও অভিযোগ উঠেছে যে, তাঁকে অপহরণ করার পরে তাঁকে বিয়ে করে তাঁর ধর্মান্তরণ ঘটানো হয়েছে। এই মামলায় অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে খলিল রহমান জানো ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। করিনার পরিবারের দাবি, পুলিশ সব জানার পরেও খলিলের পরিবারের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এরপরেই চলতি সপ্তাহে বুধবারে হিন্দুরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন সিন্ধ প্রদেশের নবাবশাহ অঞ্চলে।

অপরদিকে, পুলিশের পুরো উল্টো দাবি এই ব্যাপারে। তাদের দাবি, খলিল করিনাকে অপহরণ করেনি, বরং খলিল ও করিনা দুজনে স্বেচ্ছায় পালিয়ে বিয়ে করেছে। এই প্রসঙ্গে এলাকার এসএসপি-এর তরফে করিনার বিয়ের একটি সার্টিফিকেট পেশ করা হয়েছে। এদিকে পুলিশের তরফে এও জানানো হয়েছে যে, করিনার বাবার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে খলিলের বাবা আগসোর জানোকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.