আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে (International Day of Yoga ) করোনা প্রতিরোধে প্রাণায়ামের গুরুত্ব বোঝালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ( Narendra Modi )। প্রধানমন্ত্রীর মতে, প্রাণায়ামের ফলে শ্বাসপ্রশ্বাস সংক্রান্ত সমস্যা দূর হয়। যা করোনা ভাইরাস রোধে উপযোগী। কারণ করোনা সবার প্রথম শ্বাসতন্ত্রেই আঘাত হানে। শ্বাসতন্ত্র শক্তিশালী হলে এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
https://twitter.com/ANI/status/1274510072924696576?s=20
আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে রোগ প্রতিরোধে যোগাসনের ভূমিকা সম্পর্কে আলোকপাত করতে গিয়ে মোদি বলেন, “যোগে এমন বহু আসন আছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা অনাক্রম্যতা বাড়াতে সাহায্য করে। আর করোনা রোখার একমাত্র উপায় হল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো। যা যোগাসনের মাধ্যমে সম্ভব।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “COVID-19 সবার প্রথমে আমাদের শ্বাসতন্ত্রে আঘাত হানে। কিন্তু প্রাণায়ামের মাধ্যমে আমাদের শ্বাসতন্ত্র শক্তিশালী হয়। প্রাণায়ামের একটা জনপ্রিয় পদ্ধতি হল অনুলোম-বিলোম। এমন অনেক পদ্ধতিই অবশ্য আছে। আমাদের প্রত্যেকের উচিৎ প্রাণায়ামকে আমাদের দৈনন্দিন রুটিনের অংশ করে নেওয়া।” মোদির দাবি, বিশ্বজুড়ে বহু করোনা রোগী যোগাসনের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন। আসলে যোগ আমাদের মানসিক এবং শারীরিকভাবে শক্তিশালী করে। মানসিক সক্ষমতা এবং শান্তি দেয় যোগ। যা কঠিন সময়ে লড়াই করে জিতে আসার মানসিকতা তৈরি করে।
https://twitter.com/ANI/status/1274510072924696576?s=20
করোনা মহামারির আবহে এবারের যোগ দিবসের থিম ছিল ‘ঘরে বসে যোগ, পরিবারের সাথে যোগ।’ প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দকেও (Ramnath Kovind) সাতসকালে যোগ ব্যায়াম করতে দেখা যায়। যোগাসন করতে দেখা যায় মোদি মন্ত্রিসভার বহু মন্ত্রীকে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ প্যাটেল, প্রকাশ জাভড়েকর, গিরিরাজ সিং, মুখতার আব্বাস নকভি, ধর্মেন্দ্র প্রধান-সহ বহু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এদিন যোগাসন করেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিন যোগাসন করতে দেখা যায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং কংগ্রেস শাসিত ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেলকেও। যুদ্ধের আবহেও লাদাখ সীমান্তে সিআরপিএফ, আইটিবিপি এবং অন্যান্য সেনাকর্মীরা যোগাসনে সামিল হন।