“মোদীর উপর ভরসা রাখলে সুরক্ষিত থাকবেন, দিদির উপর ভরসা করলে তালিবানদের গুলি কপালে লেখা আছে”। বৃহস্পতিবার খড়্গপুরে এরকমই বিতর্কিত মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন সকালে প্রাতঃভ্রমণের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন, “মোদীজি সমস্ত ভারতীয়দের সুরক্ষিত ভাবে দেশে ফেরাচ্ছেন। এর আগেও তিনি লিবিয়া থেকে ভারতীয়দের ফিরিয়ে এনেছিলেন। লকডাউনের সময় ৭০ লক্ষ ভারতীয়কে নিরাপদে ফিরিয়ে এনেছিলেন। “মোদীজি হ্যাঁ তো মুমকিন হ্যায়। আর, দিদির উপর ভরসা করলে, কপালে লেখা আছে তালিবানদের গুলি”। দিলীপ ঘোষের এই বিতর্কিত মন্তব্যের পরই বিতর্ক শুরু হয়েছে।
“লক্ষ্মীর ভান্ডার” প্রসঙ্গে তিনি মন্তব্য করেন, “মোদীজি টাকা পাঠালে অ্যাকাউন্টে পাঠান। আর দিদির ৫০০-১০০০ টাকার জন্য মানুষকে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে লাইন দিতে হচ্ছে। পদপিষ্ট হয়ে আহত হচ্ছেন মহিলারা। উনি তো অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে পারতেন।” মাদার ডেয়ারি নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করে বলেন, “এর আগে মেট্রো ডেয়ারিকে লুটে পুটে খেয়েছেন দিদির ভাইয়েরা। এবার, টার্গেট মাদার ডেয়ারি। সব সিন্ডিকেট চলছে।”
দিলীপ ঘোষের বিতর্কিত মন্তব্যের উত্তর দিয়ে মেদিনীপুরের সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, “দিলীপ ঘোষের তালিবানী মন্তব্যের পরিচয় খড়্গপুরবাসী এর আগে পেয়েছেন। মানুষ মোদীর উপর ভরসা করে খড়্গপুরে ওনাদের দলের বিধায়ক করেছেন। আর, জলমগ্ন মানুষ বিপদ থেকে উদ্ধার হওয়ার জন্য, ত্রাণ চেয়ে দিলীপবাবুর বিতর্কিত মন্তব্য শুনেছেন। উনি বিদায়ী কাউন্সিলরকে ল্যাম্প পোস্টে বেঁধে রাখতে এবং তাঁর বাড়ির সামনে মলমূত্র ত্যাগ করতে বলেছেন। এটাই ওনার রাজনৈতিক পরিচয়। তৃণমূল জেলা সভাপতি বলেন, মোদীজি যখন নোটবন্দি করে লক্ষ লক্ষ গরিব মানুষকে লাইনে দাঁড় করিয়ে মৃত্যুমুখে ঠেলে দিয়েছিলেন তখন মোদীজির ভাইয়েরা কি করছিলেন? দেশের কোটি কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন মোদীজির ভাইয়েরা। আর উনি খড়্গপুরবাসী
মেদিনীপুরবাসীকে বলছেন মোদীর উপর ভরসা করতে?