স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকা ভার্চুয়াল বৈঠকে থাকছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ বুধবার এই বৈঠকে তিনি হাজির ছিলেন। অথচ তাঁকে বলতে দেওয়া হয়নি। এটা দেখে অবাক হয়েছিলেন অনেকে। তাই বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর ডাকে আগামী বৈঠকে হাজির থাকছেন না। তাঁর কথায়, ‘আমার সঙ্গে অত রাজনীতি করা উচিত নয়।’ এবার মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাতে আরও বিতর্ক বেড়েছে।
ঠিক কী বলেছেন দিলীপ? এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এটা নতুন বিষয় নয়। দিদির টাকার দরকার নেই এখন। টাকার প্রয়োজন হলেই ঠিক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন। এটা আর নতুন কী! উন্নয়নের জন্য ডাকা হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোদীর সঙ্গে দেখা করেন না। বিপদে পড়লেই মোদীর শরণাপন্ন হন মমতা। সব পাবলিসিটি স্টান্ট!’ টাকার দরকারে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? নবান্নের সভাঘরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত সরকার যা করছে করুক, তাতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। আমরা আমাদের মতো করে করব। ঋষি অরবিন্দের জন্য ওই একই কমিটি। আমাদের কমিটির বৈঠক হয়ে গিয়েছে। সব সিদ্ধান্তই নিয়ে নেওয়া হয়েছে। আমার নতুন করে বলার কিছু নেই। কালকে বলতে দিলে আমি বলতাম। কিন্তু আগামীকাল যে বৈঠকটি আছে, সেটা শুধু একজনের উপরে। যেটা নিয়ে আমরা ইতিমধ্যেই আলোচনা সেরে ফেলেছি। সুতরাং আগামীকাল আমি থাকছি না। প্রত্যেকদিন হয় না।’
উল্লেখ্য, স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে যে বৈঠক ডাকা হয়েছিল সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। ওই বৈঠকে যোগী আদিত্যনাথকে বলার সুযোগ দেওয়া হলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে দেওয়া হয়নি। এই নিয়ে রাজ্যের বিদ্বজ্জনরা পর্যন্ত ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। আর তাই এই বৈঠকে থাকছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।