‘জনতা কার্ফু’ ঠিকঠাক রূপায়িত হলে সংক্রমণ রোখা সম্ভব, মোদীর পাশে WHO

করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় রবিবার জনতা কার্ফুর ডাক দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনতা কার্ফু (janata curfew)-এর প্রশংসা করল ভারতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি হেঙ্ক বেকেডাম। তাঁর বক্তব্য, সঠিকভাবে কার্ফু রূপায়ন করা হলে দীর্ঘকালীন ভাইরাসের সংক্রমণ কমে যাবে।

করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় রবিবার জনতা কার্ফুর ডাক দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। জনতা কার্ফুতে কতখানি লাভ হবে, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। বিরোধীরাও অভিযোগ করেছে, নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) ভাষণ অন্তঃসারশূন্য।  তবে নরেন্দ্র মোদীর সিদ্ধান্তের প্রশংসা করল World Health Organization। শুক্রবার হু (WHO) -র ভারতের প্রতিনিধি হেঙ্ক বেকেডাম বলেন,”প্রধানমন্ত্রীর জনতা কার্ফুর আহ্বানকে স্বাগত জানাচ্ছি। সঠিকভাবে কৌশল রূপায়িত হলে ভাইরাসের সংক্রমণ রুখে দেওয়া যাবে।” 

বেকেডামের সংযোজন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হাত, সর্দি-কাশি হলে সঠিক ব্যবস্থা নিলে ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানো যায়। এর পাশাপাশি সামাজিকভাবে নিজেকে আলাদা করলেও ভাইরাসের অগ্রগতি রুখে দেওয়া সম্ভব। সামাজিক দূরত্ব তৈরি হলেও এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় একসঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে।

করোনা অতিমারী রুখতে বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। ঘোষণা করেন, ”আগামী রবিবার ২২ মার্চ সকাল ৭ থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সকল দেশবাসীকে জনতা কার্ফু পালনের অনুরোধ করছি। ওইদিন কোনও নাগরিক ঘরের বাইরে বেরোবেন না। রাস্তায় যাবেন না। পাড়াতেও কারও সঙ্গে মিশবেন না। নিজের ঘরেই থাকুন। জরুরি ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্তদের তো বাইরে বেরোতে হবে। তবে সাধারণ নাগরিকরা দেশহিতে আত্মসংযমের কর্তব্য পালন করুন।”     

‘জনতা কারফিউ’ কেন? তার ব্যাখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন,” ২২ মার্চ জনতা কারফিউয়ের সাফল্য ও অভিজ্ঞতা আমাদের আসন্ন চ্যালেঞ্জে মোকাবিলার পাথেয় হবে। এজন্য রাজ্য সরকারগুলিকে নেতৃত্ব দিতে অনুরোধ করছি। এনসিসি, এনএসএস কয়েকটি যুব সংগঠন, খেলাধুলার সংগঠনগুলি এগিয়ে আসুন।  সবার কাছে রবিবার জনতা কার্ফু সফল করার আবেদন করছি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.