‘‘৮ তারিখ নন্দীগ্রামে শক্তি দেখাব। এক লক্ষ মানুষের জমায়েত হবে।’’ শুক্রবার নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায় প্রতিবাদ সভায় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলে হুঁশিয়ারি বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর। এদিন সোনাচূড়ায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূলে তুলোধনা করেন শুভেন্দু। বিজেপিকে ভয় পাচ্ছে তৃণমূল, এমনই দাবি শুভেন্দুর।
বছর শুরুর দিনেই নজরে শুভেন্দুর গড় পূর্ব মেদিনীপুর। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে পুরোদমে মাঠে নেমে পড়েছেন শুবেন্দু অধিকারী। একের পর এক সভায় তোপ দাগছেন শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে। প্রতি সভাতেই তুলোধনা করছেন শাসক-শিবিরকে।
শুভেন্দুর গেরুয়া-যোগে বিধানসভা ভোটের আগে বেশ চনমনে পদ্ম-শিবির। জেলায়-জেলায় রাজনৈতিক কর্মসূচিতে এখন বিজেপির হাই-ভোল্টেজ ক্যাম্পেনার শিশির-পুত্র শুভেন্দু।
শুক্রবার শুভেন্দু অধিকারীর প্রথম সভা ছিল নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায়। ভূতার মোড়ে গত মঙ্গলবার ‘আক্রান্ত’ বিজেপি কর্মীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে প্রতিরোধের ডাক দেবেন শুভেন্দু। সেদিন বাস থামিয়ে বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
পরে হাসপাতালে গিয়ে আহত বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ক। আহতদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন ‘জননেতা’। শুক্রবার সেই সোনাচূড়াতেই প্রতিবাদ সভায় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ শানালেন শুভেন্দু অধিকারী।
তিনি এদিন বলেন, ‘‘পদ্মের কুঁড়ি এসেছে সবেমাত্র। বিজেপি এবার ঘরে-ঘরে। ভোট হতে এখনও দেরি আছে। তার আগে এবার আমরা রামনবমী পালন করব।’’ এরই পাশাপাশি তিনি আৎও বলেন, ‘‘তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এখন আমাজদের ভয় পাচ্ছে। ধর্মীয় সভায় যাওয়ার পথেও হামলা করছে। ৮ তারিখ শক্তি দেখাব নন্দীগ্রামে। এক লক্ষ মানুষের জমায়েত করব।’’