নন্দীগ্রামে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কারচুপি করে জয়ী হয়েছিলেন। এমনই তথ্য পেশ করেছিলেন শনিবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও জয়প্রকাশ মজুমদার। সেদিনটি চুপ করেছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। আজ, রবিবার এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণও করলেন তিনি। গতকাল যে সাংবাদিক বৈঠক করা হয়েছিল তা ‘প্রহসন’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এই সাংবাদিক বৈঠককে আক্রমণ করতে গান্ধীজির তিন বাঁদরের একটি ছবি পোস্টে করেন শুভেন্দু। একইসঙ্গে কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের ‘উত্তম ও অধম’ কবিতার ছবি সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন।
ঠিক কী লিখেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা? এদিন নন্দীগ্রামের বিধায়ক লিখেছেন, ‘গতকালের তোলামুল দলের সাংবাদিক ‘প্রহসন’ থুড়ি সম্মেলন দেখে সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত–এর ‘উত্তম ও অধম’ কবিতাটি মনে পড়ে গেল। সাংবাদিক সম্মেলনের দৃশ্য ও কবিতাটির এক ঝলক আপনাদের জ্ঞাতার্থে।’ এই কবিতাটি কুকুরের কামড় নিয়ে। যা তুলনা করেছেন সাংবাদিক সম্মেলনের সঙ্গে।
কী বলেছিলেন জয়প্রকাশ ও রাজীব? শনিবার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ভোটের দিন আমাকে ফোনে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, তিনি হেরে গিয়েছেন। কিন্তু পরে কীভাবে তিনি জিতে যান, তা জানি না।’ আর জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘২ মে বিকেল ৫টায় আমি সাংবাদিক বৈঠক করে বলি মাননীয়া নন্দীগ্রামে জিতে গিয়েছেন। আমাদের প্রার্থী শুভেন্দু নন্দীগ্রামে পরাজিত হয়েছেন। কিন্তু পরে জানতে পারি অন্য ফল হয়েছে। শুভেন্দুকে আমি যখন বলি, তুমি তো হেরে গিয়েছিলে, আবার জিতলে কী ভাবে? জবাবে শুভেন্দু রহস্যময় হাসি হেসে বলেন, অনেক কিছু করতে হয়েছে।’
এখন এই নন্দীগ্রাম বিধানসভার নির্বাচন নিয়ে মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। তার মধ্যেই শাসক–বিরোধী তরজা তুঙ্গে উঠেছে। এই বিষয়ে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যাঁরা ষড়যন্ত্র করেছিলেন, সেই ষড়যন্ত্রকারীদের উচিত এখন মানুষের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা!’ এবার বিষয়টি নিয়ে রাজীব–জয়প্রকাশ নেমে পড়েছেন। আর তাতেই পাল্টা জবাব দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।