কয়েকদিন আগে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, পরিস্থিতি যদি ঠিক হয় তাহলে সেপ্টেম্বরে স্কুল খুলতে পারে। শিক্ষক দিবসের দিন পরীক্ষামূলকভাবে দেখা হতে পারে। পরিস্থিতি বুঝে বিকল্প দিনে ক্লাস হতে পারে। এবার স্কুল খোলা নিয়ে রাজ্যকে বিঁধলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। শুক্রবার সুভাষ সরোবরে প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বললেন, “শুনছি স্কুল খুলবেন। এখনও আগস্ট আসেনি। সেপ্টেম্বরে কী হবে, বুঝছেন কী করে। রাজনীতি হচ্ছে।”
এদিন তিনি বলেন, “সেন্ট্রাল বোর্ড আগে সেপ্টেম্বরে পরীক্ষা নিতে চেয়েছিল। তখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চেঁচামেচি করছিলেন। এখন শুনছি স্কুল খুলবেন। এখনও আগস্ট আসেনি। সেপ্টেম্বরে কী হবে, বুঝছেন কী করে!” দিলীপ আরও বলেন, “রাজনীতি হচ্ছে। পরিস্থিতি অনুকূল হলে সব খোলা উচিত। ছেলে-মেয়েদের বছর নষ্ট হচ্ছে। একটা লকডাউন ঘোষণা করতে চারবার ঘোষণা করতে হয়। মহরম, শুক্রবারে লকডাউন হবে না। কিন্তু রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার দিনে লকডাউন করতেই হবে। কাউকে সন্তষ্ট করতে করছেন। কিন্তু এতে আরও ক্ষতি হবে।”
সম্প্রতি দিল্লিতে বৈঠক ঘিরে বঙ্গ বিজেপিতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কানাঘুষো চলছে। অর্জুন সিং দিলীপের বিরুদ্ধে বিস্ফোরণ করেছেন বলে সূত্রের খবর। সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের সাফ কথা, “দলে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। মিডিয়ার একটা অংশ কারও কারও নির্দেশে এটা রটাচ্ছে৷ দলের নেতাদের কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা চলছে। দল ঐক্যবদ্ধই রয়েছে।” তিনি আরও বলেন, বিজেপি কর্মীদের মানুষ বিশ্বাস করে। বিরোধীরা গল্প রটাচ্ছেন, এটাই তাদের রণনীতি। প্রসঙ্গত, তৃণমূলের রাজ্যস্তরের মুখাপাত্রের তালিকায় কুণাল ঘোষ ও নুসরত জাহানের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সে প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, “এটা তৃণমূলের নিজস্ব বিষয়। তবে সবাইকে পদ দিয়ে সন্তুষ্ট করে বা কেস দিয়ে ভয় দেখিয়ে দলে রাখার চেষ্টা হচ্ছে। এভাবে বেশিদিন হবে না। গন্ডগোল চাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।”