বামেদের কাছে সাম্প্রদায়িকতা মানে হল হিন্দুত্ব নিয়ে কিছু বলা।
অথচ অন্য সম্প্রদায়ের উগ্র কাজকর্মকে এরা বিভিন্ন ন্যারেটিভের মাধ্যমে ডিফেন্ড করে যায়।
এদের আবার কিছু তাত্বিক নেতা অন্য সম্প্রদায়ের উগ্র কাজকর্মেকে একটা তত্ব দিয়ে ডিফেন্ড করে।
সেই তত্বটা হল, সংখ্যাগুরুর সাম্প্রদায়িকতা ক্ষতিকর।
সংখ্যালঘুর সাম্প্রদায়িকতা নাকি অতটা ক্ষতিকর নয়।
এই তাত্বিক নেতারা কিন্তু একদিনের জন্যও পাকিস্তান,বাংলাদেশের সংখ্যাগুরুর উগ্র সাম্প্রদায়িক কাজকর্মের বিরোধিতা করেনা।
বাংলাদেশের একদম সাম্প্রতিক ঘটনা, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে উগ্র মৌলবাদীদের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে ওদেশের বামেরা বিক্ষোভ দেখিয়েছে। আর এদেশের বামগুলোও তাকে সমর্থন করেছে।
আসলে আমাদের দেশের বামপন্থীরা কোনো রকম মৌলবাদেরই বিরোধীই নয়।এরা হিন্দুত্বর বিরোধী।
কেন এরা হিন্দুত্বর বিরোধী?
হিন্দুত্ব আর জাতীয়তাবাদ সমার্থক শব্দ। হিন্দুত্ব কোনো মৌলবাদ নয়। এটা শাস্বত একটা জীবন ধারা।এটা একটা সংস্কৃতি।
আর আমাদের দেশের কমিউনিস্টরা জন্মলগ্ন থেকে জাতীয়তাবাদ বিরোধী।
এদের জন্ম কর্ম সব বিদেশি অনুপ্রেরণায়।
এরা এদেশে বিদেশের ব্রাঞ্চ হিসাবে কাজ করে।
এমনকি কোন দেশের এরা ব্রাঞ্চ হবে বা কোন দেশ এদের হেড অফিস হবে এই নিয়ে এদের পার্টি একাধিক বার ভাগ হয়েছে।
এই জাতীয়তাবাদের বিরোধীতার কারনেই এরা হিন্দুত্ব বিরোধী।