স্কুল-কলেজে হিজাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কর্ণাটক সরকার। একই রায় দিয়েছে হাই কোর্টও। এরপরই ম্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয় ও তার অধীনস্থ কলেজের প্রায় ১৬ শতাংশ ছাত্রী শিক্ষাঙ্গন ছেড়ে গিয়েছে। তাদের বক্তব্য, তারা হিজাব পরার অনুমতি আছে এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ার চেষ্টা করবে।
ম্যাঙ্গালোর ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক পি এস ইয়াদপাদিথায়ার এই বছরের মে মাসে ঘোষণা করেছিলেন, হিজাব ছাড়া ক্লাসে যোগ দিতে আগ্রহী নয় এমন পড়ুয়ারা ট্রান্সফার সার্টিফিকেট চাইলে ইস্যু করা হবে। তিনি সম্প্রতি জানিয়েছেন, টিসি নিয়েছেন ১৬ শতাংশ মুসলিম ছাত্রী। এছাড়া কিছু ছাত্রও আছে, যারা হিজাব নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদে টিসি নিয়েছেন।
যেমন দক্ষিণ কর্নাটকের উদুপি জেলার সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজগুলিতে বিভিন্ন কোর্সে ভর্তি হওয়া মোট ৯০০ মুসলিম ছাত্রীর মধ্যে ১৪৫ জন টিসি নিয়েছে।
তারা অন্য কোনও শিক্ষাঙ্গনে ভর্তি হয়েছেন কি না তা এখনও জানা যায়নি। কিন্তু টিসি নেওয়ার বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের হিজাব মামলার শুনানিতে উত্থাপিত হয়েছে। প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিব্বল আদালতকে জানান, ইউনিফর্ম আগে নাকি শিক্ষা প্রথম। মুসলিম পক্ষের দাবি, হিজাব নিষিদ্ধ করে শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। বলা হয়, পরীক্ষা কেন্দ্রেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি হিজাব পরা ছাত্রীদের।