এবার হেডমাস্টারের ভূমিকায় শুভেন্দু অধিকারী। সৌজন্যে বিজেপির পরিষদীয় দলের প্রশিক্ষন শিবির। হ্যাঁ এবার বিধায়কদের ক্লাস নিতে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সূত্রের বিধানসভায় নবাগত বিধায়কদের সঙ্গে আগামী ৩ জুলাই কথাবার্তা বলবেন শুভেন্দু। নিছক কথাবার্তাই নয়, অভিজ্ঞ শিক্ষকের মতো শুভেন্দু তাঁদের বুঝিয়ে দেবেন বিধানসভায় অধিবেশন চলাকালে কী কী করণীয়, কে কোন দায়িত্ব পালন করতে পারেন। সূত্রের খবর এই বৈঠকটি হবে হেস্টিংসে বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয়ে।
পরিষদীয় নেতারা এই ধরনের বৈঠক করেন বিধানসভায়। প্রায় বেনজির ভাবেই শুভেন্দু প্রথম বৈঠকটিকে নিয়ে যাচ্ছেন হেস্টিংসে। কেন এই সিদ্ধান্ত বিরোধী দলনেতার! রাজনৈতিক মহলের মত, বিধানসভায় অবিশ্বাসের বাতাবরণ রয়েছে, সেই কারণেই এই বৈঠককে সেফ জোন হেস্টিংসে নিতে চান শুভেন্দু। বিধানসভায় যারা নবাগত, তাঁদের ফার্স্ট হ্যান্ড ট্রেনিং দিতেই এই ব্যবস্থা বলে জানান হচ্ছে। মনোজ টিগ্গার দাবি, “পরিষদীয় দলের আলোচনায় রাজনৈতিক কিছু বিষয় রয়ছে। যা নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠক বিধানসভার বদলে হেস্টিংসে করা হচ্ছে। “
যদিও রাজনৈতিক মহল বলছেন এই ক্লাস নেওয়ার ভিতরেও রাজনীতি রয়েছে। বিজেপিতে শিবিরের দ্বন্দ্ব রীতিমতো প্রকট। যে ৭৪ জন বিধানসভায় শুভেন্দুদের হাত শক্ত করবেন তাঁদের বেশির ভাগই তথাকথিত শুভেন্দু-অনুগামী নন। স্বাভাবিক ভাবেই এই বিধায়কদের মধ্যে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে বিষয়ও রয়েছে। কিন্তু আগামী কাজ করতে হবে সমন্বয় রেখেই। তাছাড়া এই ধরনের জণসংযোগে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি প্রভাব-ক্ষেত্রটি বিস্তারের বিষয়টিও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
প্রসঙ্গত সোমবার বিধানসভায় উপস্থিত থাকলেও সর্বদলীয় বৈঠক এড়িয়ে যান শুভেন্দু অধিকারী । বিজেপির পরিষদীয় নেতাদের সঙ্গে একটি বৈঠকও করেন তিনি। কিন্তু সর্বদলীয় বৈঠকে তাঁকে দেখা যায়নি। বিএ কমিটির মিটিংয়ে তিনি ছিলেন না। কেন বৈঠকটি এড়িয়ে গেলেন শুভেন্দু তাই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিস্তর জল্পনার অবকাশ রয়েছে।