পঞ্চায়েত ভোটে প্রতিটি বুথে অর্ধেক কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং অর্ধেক রাজ্য পুলিশ থাকবে। মঙ্গলবার পর্যবেক্ষণে এমনই জানাল কলকাতা হাই কোর্ট। এ ব্যাপারে বিএসএফের নোডাল অফিসারকে নির্দেশ দিল আদালত।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী, যে কোনও জায়গায় ৪ জনের কম জওয়ান মোতায়েন করা যায় না। কিন্তু এই নির্বাচনের জন্য পর্যাপ্ত বাহিনী নেই বলে জানানো হয় আদালতে। অন্য দিকে, আদালত আগেও বলেছে যে, রাজ্য পুলিশ কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে কাজ করতে পারবে। এই বিশেষ পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত ভোটে প্রতি বুথে সমান অনুপাতে রাজ্য পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা যায় কি না তা বিবেচনা করতে বলল হাই কোর্ট। পাশাপাশি সব বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে নির্দেশ হাই কোর্টের।
মঙ্গলবার ওই মামলার শুনানিতে ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল বিল্বদল ভট্টাচার্য জানান, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৬৫ হাজার জওয়ান এবং রাজ্য পুলিশের ৭০ হাজার কর্মীকে সমান অনুপাতে ব্যবহার করলে এই সমস্যার সমাধান করা যাবে। এর পর হাই কোর্ট আইজিকে (বিএসএফ) নির্দেশ দেয় রাজ্যজুড়ে সমান ভাবে বাহিনী মোতায়েন করার।
অন্য দিকে, বিরোধীদের দাবি এবং কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে শেষ পর্যন্ত পঞ্চায়েত ভোটের জন্য রাজ্যে পুরো ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে। এর আগে প্রথম দফায় ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং পরে আরও ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছিল রাজ্যে। তৃতীয় দফায় ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এলে পঞ্চায়েত ভোটের জন্য মোট ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে রাজ্যে। রাজ্যে ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার পর কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রের কাছে আরও ৮০০ কোম্পানি বাহিনী চেয়ে পাঠায় কমিশন।
আগেই ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী পাঠানোর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল কেন্দ্র। ওই ৩১৫ কোম্পানি বাহিনীর জওয়ানরা ধাপে ধাপে রাজ্যে আসতেও শুরু করে দিয়েছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ৩২৩ কোম্পানির মধ্যে বিএসএফ থেকে ১০০ কোম্পানি, সিআরপিএফ থেকে ৭৩ কোম্পানি, এসএসবি থেকে ৫০ কোম্পানি, সিআইএসএফ থেকে ৪০ কোম্পানি, আরপিএফ থেকে ৩০ কোম্পানি এবং আইটিপিবি থেকে ৩০ কোম্পানি বাহিনী আসবে। এ ছাড়াও ২০টি রাজ্য থেকে আসবে ১৬২ কোম্পানি বাহিনী।