সোমবার ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল। তার প্রতিবাদে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে আন্দোলন দানা বেধেছে। এবার সেই ক্ষোভের ঝড়ই আছড়ে পড়ল জলপাইগুড়িতে একেবারে বিজেপির পার্টি অফিসের অন্দরে। অভিযোগ মঙ্গলবার জলপাইগুড়িতেও বিক্ষোভ দেখান যুব তৃণমূুল কর্মীরা। এদিকে অভিযোগ আচমকাই কয়েকজন যুব তৃণমূল কর্মী বিজেপি পার্টি অফিসের গেট ঠেলে ভেতরে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেন। এরপর তারা পার্টি অফিস চত্বরে কয়েকটি দলীয় ফ্লেক্স ছিঁড়ে দেন বলেও অভিযোগ। তারা পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালানোর চেষ্টা চালিয়েছিল বলেও অভিযোগ। তবে পুলিশ দ্রুত তাদেরকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে। কোনওরকমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। তবে তৃণমূল বিজেপির পার্টি অফিসে হামলার অভিযোগ মানতে চায়নি।
স্থানীয় সূত্রে খবর,জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এদিন শহরে আন্দোলন শুরু হয়। রীতিমতো মিছিল করে গিয়ে যুব তৃণমূল কর্মীরা বিজেপির জেলা কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বিজেপির পার্টি অফিসের সামনেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের কুশপুতুল দাহ করেন যুব তৃণমূল কর্মীরা। তখনই আচমকা উত্তেজিত হয়ে যান যুব তৃণমূল কর্মীরা। বিজেপির পার্টি অফিসের ভেতর কয়েকজন ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমাদের পার্টি অফিসে ঢুকে হামলা চালিয়েছে। এটাই তৃণমূলের কালচার। যুব তৃণমূল নেতা সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন,’ গণতন্ত্র নেই ত্রিপুরায়। ত্রিপুরার মানুষ এখন পরিবর্তন চাইছেন। সেখানকার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাইছেন।’