আজ সন্ধ্যায় ঝটিকা সফরে নয়াদিল্লি সফরে যাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। ঠিক তার আগেই সেখানে তড়িঘড়ি পৌঁছতে চলেছেন বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সুতরাং নয়াদিল্লিতে হাইভোল্টেজ বৈঠক বসতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। এমনকী সেই বৈঠকে রাজ্যপাল–বিরোধী দলনেতা উপস্থিত থাকতে পারেন বলেই খবর। কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রে খবর, বিকেল ৪টের বিমানে রাজধানীর উদ্দেশ্যে রওনা হবেন রাজ্যপাল। তাঁর নয়াদিল্লি যাত্রার কারণ নিয়ে এখনও কোনও স্পষ্ট তথ্য মেলেনি।
জানা গিয়েছে, ভবানীপুর উপনির্বাচন ঠেকাতেই জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। অমিত শাহ–জেপি নড্ডার সঙ্গে দেখা করবেন তাঁরা বলে খবর। আবার আজ রাজধানীতে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ইডি’র কাছে গিয়েছেন কথা বলতে। কারণ তাঁরাই কয়লা কাণ্ডের তদন্তে তলব করেছেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, এমন কী জরুরি প্রয়োজন পড়ল যে রাজ্যপাল–বিরোধী দলনেতাকে ছুটতে হল নয়াদিল্লিতে?ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
দলীয় সূত্রে খবর, ভবানীপুর উপনির্বাচন নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী। আবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের সঙ্গেও কথা বলতে পারেন তিনি। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্রে উপনির্বাচন ঘোষণার পরই তিনি সরব হয়েছিলেন। তিনি প্রশ্ন করেছিলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে স্পষ্ট করতে হবে দেশের মধ্যে কেন শুধুমাত্র ভবানীপুরে উপনির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।’
এই নয়াদিল্লি সফর পূর্ব–নির্ধারিত নয়। এমনকী তাঁদের কেউ জরুরি তলব করেছেন এমন কোনও দাবি তাঁরাও করেননি। তাহলে তড়িঘড়ি নয়াদিল্লি সফরের সিদ্ধান্ত কেন? সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আটকাতেই এই সফর। তাই শলা–পরামর্শ করতেই এই জরুরি সফর। সেখানে বেশ কয়েকজন আইনজীবীও থাকার কথা। যাঁরা এই উপনির্বাচন আটকানোর পথ বাতলাবেন। তারপরেই করা হবে মামলা। বিষয়টি হয়ে যাবে বিচারাধীন।