ইতিমধ্যেই অমিত শাহের ডেপুটি হিসেবে অভিষেক ঘটেছে নিশীথ প্রামাণিকের। ভোট পরবর্তী হিংসায় জর্জরিত কোচবিহারের সাংসদের সামনে এরপর সবথেকে বড় প্রশ্ন, এতদিন ধরে তুলে আসা ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে এবার কী পদক্ষেপ নিতে চলেছেন মন্ত্রী? এই প্রশ্নের কোনও সুনির্দিষ্ট জবাব না দিয়ে এবার জল্পনা বাড়ালেন নিশীথ। বললেন, ‘একটু সময় দিন নিশ্চয়ই কিছু ভাবব। আস্তে আস্তে সব বলব।’ এরপরই তাঁর ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে।
এদিন সংবাদমাধ্যমকে নিশীথ আরও বলেন, ‘দেশে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ চলছে। এর নেতৃত্বে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে। তাঁর মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়ে আমি গৌরব বোধ করছি। অমিত শাহের সঙ্গে কাজ করতে পারব ভেবেই ভালো লাগছে, আমি ভাগ্যবান। ওনার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারব। নিজের সর্বস্ব দিয়ে ভারতের উন্নয়নের জন্যে কাজ করব। যে গুরুদায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছে, তা পালনের আপ্রাণ চেষ্টা করে যাব।’
এদিকে নিশীথ মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার আগেই তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন প্রাক্তন সাংসদ তথা তৃণমূলের কোচবিহার জেলার সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়। পার্থপ্রতিম রায় বুধবার তাঁর ফেসবুকের পাতায় দুটি আলাদা নথির ফোটো পোস্ট করেন । সেখানে তিনি লিখেন, ‘শুনলাম কোচবিহারের সাংসদ মন্ত্রী হচ্ছেন। বেশ ভালো কথা। কিন্তু লোকসভার সাইট খুঁজতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ। ওয়েবসাইটে সাংসদ মহাশয়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখাচ্ছে বিসিএ। কিন্তু ভোটে দাঁড়ানোর সময় হলফনামায় লেখা সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা মাধ্যমিক। আমি না বিষয়টি বুঝতে পারলাম না। কেউ কি বোঝাবেন নাকি সাংসদ মহাশয় নিজেই বিষয়টি খোলসা করবেন। সামাজিক মাধ্যমেই কোচবিহারের মানুষের কাছে প্রশ্ন রাখলাম।’
একসময় দিনহাটায় যুব তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন নিশীথ। সেইসময় জেলা তৃণমূলের একাধিক নেতার সঙ্গেই তাঁর বিরোধ বেধেছিল। প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ তাঁকে গরু পাচারকারী থেকে স্মাগলার বলেছিলেন। পরে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়ে কোচবিহারের সাংসদ নির্বাচিত হন। তারপরেও নিশীথে বিরুদ্ধে কোচবিহারকে অশান্ত করার অভিযোগ তুলেছে ঘাসফুল শিবির। তবে বিধানসভা নির্বাচনের পর কোচবিহার থেকে বহু মানুষ অসমে গিয়ে শরণ নেয় হিংসার হাত থেকে বাঁচতে। সেই নিয়ে বারবার সরব হন নিশীথ। দেখা করেন রাজ্যপালের সঙ্গে। এবার মন্ত্রী হিসেবে তাঁর পদক্ষেপ নেওয়ার পালা।