১৯৯০ সালের পর এই প্রথম ফের একবার রাজ্যসভায় কোনও এক দলের সাংসদ সংখ্যা তিন অঙ্ক ছুঁল। অসম, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড থেকে একটি করে আসনে জিতেছে বিজেপি। আর এর ফলে রাজ্যসভায় বিজেপির বর্তমান সংদস্য সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০০। তবে এই প্রাপ্তির মাঝেও পঞ্জাবের একটি আসন খোয়াতে হয় বিজেপিকে। সেই রাজ্যের সাতটি আসনের মধ্যে পাঁচটিতেই আম আদমি পার্টি জয়ী হয়েছে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।
এর আগে ১৯৯০ সালে রাজ্যসভায় কংগ্রেসের সদস্য সংখ্যা ১০৮ ছিল। তবে তারপর থেকে ক্রমেই সদস্য সংখ্যা কমেছে কংগ্রেসের। আর এদিকে ২০১৪ সালে যখন বিজেপি ক্ষমতায় আসে তখন রাজ্যসভায় বিজেপির সদস্য সংখ্যা ছিল ৫৫। তবে এরপর পরপর রাজ্যে ‘মোদী ঝড়ে’ রাজ্যসভায় বেড়েছে বিজেপির সদস্য সংখ্যা। এখন তা ১০০ ছুঁয়েছে। এরপর উত্তরপ্রদেশের থেকে রাজ্যসভার নির্বাচনেও বিজেপির লাভ হবে। উত্তরপ্রদেশ থেকে ১১ জন রাজ্যসভা সাংসদ অবসর নেবেন। সেই স্থানে নির্বাচন হবে। অবসরপ্রাপ্তদের মধ্যে ৫ জন বিজেপির। তবে কংগ্রেস ও বিএসপির খারাপ ফলের কারণে বিজেপি লাভবান হবে। উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় তাদের সংখ্যা কমলেও ৭ জনকে রাজ্যসভায় পাঠানো পুরো নিশ্চিত বিজেপির জন্য। এদিকে অশমের মতো ‘খেলা’ দেখাতে পারলে অষ্টম সদস্যকেও বিজেপি জিতিয়ে আনতে পারে।জনপ্রিয় খবর
উল্লেখ্য, অসমের ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি এবং শরিক ইউপিপিএল বৃহস্পতিবার অসমের থেকে দুটি রাজ্যসভার আসনই জিতেছে। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলগুলি একটি আসন জেতার চেষ্টায় করলেও শেষ পর্যন্ত বিরোধী ঐক্যে চিড় ধরিয়ে শেষ হাসি হাসে গেরুয়া শিবির। পর্যাপ্ত সংখ্যা না থাকা সত্ত্বেও বিজেপির পবিত্র মার্গেরিতা এবং ইউপিপিএল-এর রাংওয়া নারজারি জিতে যান। প্রসঙ্গত, ১২৬ সদস্যের বিধানসভায় মোট ৮২টি ভোট ছিল শাসক জোটের পক্ষে। এদকে একজন প্রার্থীকে জিততে ন্যূনতম ৪৩টি ভোটের প্রয়োজন ছিল। এই আবহে ক্ষমতাসীন জোটের পক্ষে দ্বিতীয় আসনে জয়ের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ ছিল। দ্বিতীয় আসনটি জেতার ক্ষেত্রে চার ভোটে পিছিয়ে ছিল শাসক জোট। কিন্তু বিরোধী দলে ফাটল ধরায় উভয় আসনেই জয় পায় শাসক জোট।