কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বুধবার নরেন্দ্র মোদীকে স্বাধীনতার পর দেশের সবচেয়ে সফল প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আখ্যা দেন। অমিত শাহের কথায়, সরকারী প্রকল্পগুলির ‘আকার’ বাড়িয়ে দরিদ্রদের জীবনকে প্রভাবিত করেছেন মোদী। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন কী করে মোদী সকল গুজরাতবাসীর কাছে ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুত পৌঁছে দেওয়ার ‘অসম্ভব’ প্রতিশ্রুতি করেও তা রক্ষা করেছিলেন, সেই কথাও শোনান অমিত শাহ। শাহের দাবি, অভিজ্ঞতার অভাব একসময় নিজের দক্ষতা ও জেদের মাধ্যমে পূর্ণ করেছিলেন মোদী।
অমিত শাহ এদিন বলেন, ‘কোনও নীতি বা প্রকল্পের খসড়া তৈরি করার সময়, তিনি এর আকার দেখে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে স্কিমগুলি সবার জন্য হওয়া উচিত। এর আগে, নির্দিষ্ট সংখ্যক সুবিধাভোগীদের কথা মাথায় রেখে পরিকল্পনাগুলি তৈরি করা হত। কিন্তু তিনি (মোদী) বলেছিলেন যে সেগুলি সবার জন্য হওয়া উচিত।
শাহ আরও বলেন, ‘ভারতের সমস্যা কেবল প্রশাসনিক বা অর্থনাতিক উন্নয়নের মধ্য়ে সীমাবদ্ধ নয়, দেশের সম্মান রক্ষা করাও প্রয়োজন এবং সংস্কৃতিকে সংরক্ষণ করা ও জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও প্রয়োজন। এই সবই করতে পারেন একজন নেতা। তিনি জনপ্রিয়। যাঁরা মাটির খুব থেকে এসে গরিবের কষ্ট অনুভব করেন তাঁরাই পরিবর্তন আনতে পারেন। যখন তিনি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন প্রশাসক হিসাবে তাঁর কোনও অভিজ্ঞতাই ছিল না। কিন্তু নানা বাধার সম্মুখীন হয়েও নিজের দক্ষতায় তিনি নিজেকে সফল প্রশাসক হিসেবে প্রমাণ করেছেন।
আমিত শাহ এদিন বিগত কংগ্রেস সরকার সম্পর্কে দাবি করেন, ‘২০১৪ সালে মনমোহন সিং যখন সরকার চালাচ্ছিলেন, তখন মন্ত্রিসভার প্রত্যেক সদস্যই নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ভাবতে শুরু করেছিলেন, এদিকে আসল প্রধানমন্ত্রীকেই কেউ প্রধানমন্ত্রী হিসাবে গণ্য করতেন না। সেই সময় জাতীয় নিরাপত্তা ছিল না, ভারতকে নিজের গর্ব খোয়াতে হয়েছিল। ১২ লক্ষ কোটি টাকার দুর্নীতি সামনে আসে। সবাই ভেবেছিল দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়বে। তবে মোদী আসতেই সাধারণ মানুষের মনে বিশ্বাস জন্মায় যে, এবার দেশের উন্নতি হবে।’