উপপ্রধান থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, বর্ণময় জার্নি কোচবিহারের নিশীথ প্রামাণিকের

২০১৩ সালে তিনি ছিলেন কোচবিহারের দিনহাটার ভেটাগুড়ি-১ পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান। ক্রমে কোচবিহারে যুব তৃণমূলের শক্তিশালী মুখ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। এরপর তোর্সা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। অনেকের মতে, তিনি তৃণমূলে থাকাকালীন কোচবিহারে কার্যত তাঁর দাপটে মাদার তৃণমূলের অনেকেরই রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছিল। সেই নিশীথ প্রামাণিকই গত লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দেন। এরপর বিজেপির টিকিটে সাংসদও হয়ে যান। বিজেপির অন্দরের খবর, বরাবরই খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর গুডবুকে ছিলেন এই তরুণ সাংসদ। এবার তাঁকেই করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে তৃণমূলে থাকাকালীন তিনি মুকুল ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত ছিলেন। তবে এবারের বিধানসভা ভোটে তিনি দিনহাটা কেন্দ্রে বিধায়কের টিকিটে দাঁড়ালেও বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি। মাত্র ৫৭ ভোটে জেতেন তিনি। এরপর বাসিন্দাদের অনেকেই অভিযোগ তোলেন সাংসদ হওয়ার পরেও এলাকায় তাঁকে বিশেষ দেখা যায় না। নানা কারণে তাঁর সেই জনভিত্তিও ধীরে ধীরে কমেছে। তাঁর পুরানো সঙ্গীদের অনেকেই ধাপে ধাপে তৃণমূলে ফিরতে শুরু করেছেন। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে সংগঠন ধরে রাখতে আরও কোনও ঝুঁকি নিতে চাইলেন না বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। https://www.youtube.com/embed/G66pvVVkF2o

একেবারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর চেয়ারে বসানো হচ্ছে তাঁকে। তবে সবচেয়ে বড় কথা, গ্রেটার নেতা অনন্ত রায় ঘনিষ্ঠ নিশীথ প্রামাণিককে মন্ত্রী করে উত্তরের রাজবংশী তথা গ্রেটারদের মন জয়ে একেবারে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে এবার রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী কেন্দ্রীয় মন্ত্রীত্ব পদ খোয়ালেন। রাজনৈতিক পর্য়বেক্ষকদের দাবি তাঁর পারফরম্যান্সে একেবারেই খুশি নন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এর সঙ্গেই এবার বিধানসভায় রায়গঞ্জে বিজেপির আশানুরূপ ফল না হওয়ার কোপও পড়ল তাঁর উপর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.