“কেন চার ঘণ্টার নোটিশে লকডাউন?” সংসদে মোদি সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

কেন চার ঘণ্টার নোটিশে লকডাউন করা হয়েছিল ? গত কয়েক মাস ধরে এই প্রশ্নটাই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি ছুঁড়ে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) দিকে। বুধবার সংসদে বিজেপি সাংসদ মনোজ তিওয়ারির এই সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে দেশের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রায় (Home Minister of State Nityananda Roy) সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করলেন। তিনি বলেছেন, “৭ জানুয়ারি যখন প্রথম দিকে আমরা যখন করোনা ভাইরাস প্রসঙ্গে জানতে পারি তখন থেকেই দেশে সচেতনতা মূলক ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছিল। দেশ থেকে আগত যাত্রীদের থেকে শুরু করে অন্যান্য যাবতীয় বিষয়গুলির ওপর নজর রেখেছিল কেন্দ্রীয় সরকার।” স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, “আমরা বিশ্বের তামাম দেশের ওপর নজর রাখছিলাম। বিশ্বের পরিস্থিতি দেখে আমরা ২৪ মার্চ থেকে পুরোপুরি লকডাউনের (Lockdown) সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমরা স্থির করেছিলাম কোনওভাবেই যাতে দ্রুত গতিতে এই মারণ রোগ দেশের সব প্রান্তে ছড়িয়ে না পড়ে।”

এদিন লিখিতভাবে সংসদে নিত্যানন্দ রায় জানিয়েছেন, লকডাউনের সময় কোভিড-১৯ মারণ রোগের মোকাবিলার জন্য যে ধরনের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর প্রয়োজন তা করা হয়েছে অতি দ্রুততার সঙ্গে। সংসদকে তিনি জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়ন করতে লখডাউনের সময় যথেষ্ট কাজে লেগেছে। এই অল্প সময়ে ২২ গুন আইসোলেশন বেড বানানো হয়েছে। ১৪ গুণ বাড়ানো হয়েছে আইসিইউয়ের বেড। মার্চ মাস থেকে এখনও পর্যন্ত স্বাস্থ্য পরিষেবার পরিকাঠামোয় ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। যাতে কোভিড-১৯ সংক্রমণ কোনওভাবেই দেশকে কাবু না করতে পারে। নিজের লিখিত অবস্থানে সংসদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, লকডাউনের ফলে ১৪-২৯ লক্ষ মানুষ করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হননি।
উল্লেখ্য, ২৩ মার্চ রাত আটটায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরে লকডাউন বেড়ে ৩১ মে পর্যন্ত চলে। এই সময় কয়েক কোটি মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েন বলে অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। লাখো লাখো পরিযায়ী শ্রমিক পরিবহনের অভাবে পায়ে হেঁটে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে পাড়ি দেন। এই চূড়ান্ত অব্যবস্থা জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের অপরিকল্পিত লকডাউন বিদায় করেছিল বিরোধীরা। বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রীর জবাব করেছিল কংগ্রেস-তৃণমূল সহ তামাম বিরোধীরা। এদিন সেই সংক্রান্ত যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.