তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যার বিরুদ্ধে মামলাকারীকে জরিমানা করা উচিত ছিল বলে মন্তব্য করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবার কলকাতা হাই কোর্টে অন্য একটি মামলার শুনানিতে এই কথা বলেন তিনি।
আগে এই সুকন্যাকে আদালতে হাজির হওয়া থেকে অব্যাহতি দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই মামলার প্রসঙ্গ তুলে সোমবার তিনি বলেন, ‘‘যে দিন অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, সে দিন চেম্বারে গিয়ে কাগজপত্র দেখে বুঝেছিলাম আদালতকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। তাই পর দিন কোর্টে বসেই অভিযোগটি খারিজ করে দিই।’’ এর পরেই কলকাতা তিনি জরিমানার প্রসঙ্গ তোলেন। তাঁর কথায়, ‘‘সুকন্যার বিরুদ্ধে মামলাকারীকে জরিমানা করব ভেবেছিলাম। ভবিষ্যতে আদালতে তথ্য দেওয়া সম্পর্কে আইনজীবীদের সতর্ক থাকা উচিত।’’
টেট (প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা) সার্টিফিকেট ছাড়াই চাকরি পেয়েছেন সুকন্যা। প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় অনুব্রতের মেয়ের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করা হয়েছিল। এর পরেই সুকন্যাকে সশরীরে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পর দিন শুনানির শুরুতেই আগের নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেন তিনি। তিনি জানিয়ে দেন, আদালতে চলা টেট মামলাগুলির সঙ্গে জুড়ে থাকা অতিরিক্ত হলফনামা হিসেবে নয়, যদি সুকন্যা-সহ অভিযুক্ত ছ’জনের বিরুদ্ধে আলাদা করে মামলা করা হয়, তবে তা শুনতে পারে আদালত। সোমবার সে প্রসঙ্গই তুলে আনেন তিনি।
তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যার বিরুদ্ধে মামলাকারীকে জরিমানা করা উচিত ছিল বলে মন্তব্য করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবার কলকাতা হাই কোর্টে অন্য একটি মামলার শুনানিতে এই কথা বলেন তিনি।
আগে এই সুকন্যাকে আদালতে হাজির হওয়া থেকে অব্যাহতি দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই মামলার প্রসঙ্গ তুলে সোমবার তিনি বলেন, ‘‘যে দিন অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, সে দিন চেম্বারে গিয়ে কাগজপত্র দেখে বুঝেছিলাম আদালতকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। তাই পর দিন কোর্টে বসেই অভিযোগটি খারিজ করে দিই।’’ এর পরেই কলকাতা তিনি জরিমানার প্রসঙ্গ তোলেন। তাঁর কথায়, ‘‘সুকন্যার বিরুদ্ধে মামলাকারীকে জরিমানা করব ভেবেছিলাম। ভবিষ্যতে আদালতে তথ্য দেওয়া সম্পর্কে আইনজীবীদের সতর্ক থাকা উচিত।’’
টেট (প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা) সার্টিফিকেট ছাড়াই চাকরি পেয়েছেন সুকন্যা। প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় অনুব্রতের মেয়ের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করা হয়েছিল। এর পরেই সুকন্যাকে সশরীরে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পর দিন শুনানির শুরুতেই আগের নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেন তিনি। তিনি জানিয়ে দেন, আদালতে চলা টেট মামলাগুলির সঙ্গে জুড়ে থাকা অতিরিক্ত হলফনামা হিসেবে নয়, যদি সুকন্যা-সহ অভিযুক্ত ছ’জনের বিরুদ্ধে আলাদা করে মামলা করা হয়, তবে তা শুনতে পারে আদালত। সোমবার সে প্রসঙ্গই তুলে আনেন তিনি।
সোমবার হাই কোর্টে প্রাথমিকের একটি মামলার শুনানি চলছিল। ওই মামলায় পুরুলিয়ার বড়বাজার থানার পুলিশকে তলব করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু আদালতের পর্যবেক্ষণে উঠে আসে যে, মামলাকারীর আইনজীবী ভুল তথ্য দিয়ে আদালতকে বিভ্রান্ত করেছেন। এই কারণে মামলকারীকে ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয় হাই কোর্ট। জরিমানার অর্থ থেকে পাঁচ হাজার টাকা দিতে বলা হয়েছে বড়বাজার থানাকেও।
এই মামলার প্রেক্ষিতেই সোমবার সুকন্যার প্রসঙ্গ টেনে আনেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর মন্তব্য, ‘‘ভুল তথ্যের কারণে পুরুলিয়া থেকে পুলিশ আধিকারিকদের ভোরবেলা উঠে এখানে আসতে হয়েছে। এটা ঠিক নয়!’’